বরিশালে ইউএনওর বাসভবনে হামলা, পুলিশ-আ.লীগ সংঘর্ষ
আলোকিত প্রতিবেদক : বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ।
এ সময় পুলিশ ও আনসারদের সাথে সংঘর্ষে ওসি ও প্যানেল মেয়রসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
আহত কয়েকজন হলেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল আবুল কালাম, শরীফুল ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন।
এদিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করার ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবুকে আটক করেছে পুলিশ।
ইউএনও মুনিবুর রহমান জানান, শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ ও আশপাশে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের ব্যানার-পোস্টার লাগানো হয়েছিল। বুধবার রাত ১০টার পর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সিটি করপোরেশনের লোকজনকে নিয়ে এগুলো অপসারণ করতে যান।
তখন ইউএনও বৃহস্পতিবার সকালে অপসারণ কাজ করার অনুরোধ করলে তারা গালিগালাজ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ ও গুলি চালালে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক জানান, ইউএনওর বাসভবন সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় রাতে ব্যানার খুলতে নিষেধ করেন। নিষেধ অমান্য করে ইউএনওর বাসভবনে প্রবেশ করতে চাইলে আনসাররা গুলি চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সংঘর্ষে একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুকের সাথে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর দ্বন্দ্ব চলছে। একটি অংশ প্রতিমন্ত্রীর নামে লাগানো পোস্টার-ব্যানারকে আড় চোখে দেখছিল।