তদন্ত হলেও কাপাসিয়ার ‘রোগী মারা’ হাসপাতাল অধরা!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ার আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রায় তিন মাসেও মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি থানা পুলিশ।
আর গত ২৭ মের চিঠিতে ওসিকে অনুরোধ করেই দায় সেরেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমত আরা।
এর দুই দিন পর হাসপাতালের পরিচালক জহিরুল ইসলাম সিকদার ওরফে আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলগালাও খুলে দেন তিনি।
ফলে রোগী মারার মত অপরাধ করেও মালিক পক্ষ ও কথিত সার্জন জাহিদুল ইসলাম পার পেয়ে যাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যমতে, আমরাইদ বাজার এলাকার টোক রোডে হাসপাতালটি অবস্থিত। এতে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা ও রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
ভুল চিকিৎসায় গত ২৪ এপ্রিল বারিষাব ইউনিয়নের কুশদী গ্রামের রায়হানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তানিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালটি সিলগালা করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট আয়েশা সিদ্দিকার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কথিত সার্জন জাহিদুলকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কথিত সার্জন জাহিদুল স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা এবং জেনারেল সার্জারির কোন ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণের সনদ দেখাতে পারেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ সনদবিহীন চিকিৎসক দ্বারা অপারেশন করিয়েছে।
একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ ফলোআপের অভাব আছে। কথিত সার্জনের ঝুঁকিপূর্ণ প্রসব সম্পর্কিত অভিজ্ঞতার ঘাটতি রোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিষয়টির ওপর গত ৮ জুলাই আলোকিত নিউজ ডটকমে ‘কাপাসিয়ায় রোগী মারা হাসপাতাল ফের চালু’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তখন ওসি রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, নিহতের পরিবারের কেউ মামলা করতে আসছে না। এরপরও আমরা ব্যবস্থা নিব।
প্রায় দেড় মাস পর জানতে চাইলে তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, পুলিশ বাদী হলে কিছু সমস্যা আছে। উপজেলা প্রশাসন বাদী হোক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপোস করায় নিহতের পরিবার এগোচ্ছে না। প্রশাসনও রহস্যজনক কারণে তালবাহানা করছে।