গাজীপুরে শ্রেণি পাল্টে পুকুর লিজ : ভরাটের পাঁয়তারা
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে শ্রেণি পাল্টে সরকারি পুকুর লিজ নিয়ে ভরাটের পাঁয়তারা চলছে।
জেলা প্রশাসনের সন্নিকটে জয়দেবপুর ট্যাংকির পাড় মোড়ের পাশে এ ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ৪৩৩ নং খতিয়ানভুক্ত আরএস ১৪৯৫ নং দাগের ওই পুকুরের আয়তন ৮১ শতাংশ। সিএস দাগ থেকেই এর শ্রেণি পুকুর। ‘খ’ তফসিলভুক্ত পুকুরটি ২০০৭ সাল পর্যন্ত একসনা লিজ দেওয়া হয়।
পরে ‘খ’ তফসিল অবমুক্ত হলে লিজ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এটি এখনো কারও নামে নামজারি ও জমাভাগ হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, পুকুরটি জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের পিয়ন আবদুল আউয়াল গং কৌশলে দখল করে রেখেছে। দক্ষিণ অংশে পর্যায়ক্রমে প্রায় ২৫ শতাংশ ভরাট করে বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
আবদুল আউয়াল এরই মধ্যে নতুন ফন্দি আঁটেন। তিনি ‘খ’ তফসিল গোপন করে পুকুরকে বাড়ি দেখিয়ে গত মাসে লিজ নবায়ন করেন। এতে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকে সহযোগিতা করেন। যার ভিপি কেস নং ৩৮৬/৭৫। এরপর শুরু হয় নতুন স্থাপনা নির্মাণ।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদ হাসান তৎপর হন।
তিনি ঘটনাস্থলে কর্মকর্তা পাঠিয়ে সকল কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। তারপরও পুকুরের পশ্চিম অংশে আবর্জনা ফেলে ভরাটের চেষ্টা চলছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল আউয়াল আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি সাড়ে ১৭ শতাংশ লিজ নিয়ে বাড়ি ও দোকান করেছি। আমার সাথে আবদুল গণিও আছে।
পুকুরের শ্রেণি হঠাৎ বাড়ি হল কীভাবে-প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সার্ভেয়াররা যেভাবে পেয়েছে, সেভাবে করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহমুদ হাসান আলোকিত নিউজকে বলেন, আবদুল আউয়াল ভিপি সম্পত্তি লিজ নিয়েছেন। কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাকে ধরে নিয়ে আসার পর সব ঠিকঠাক করে দেওয়ার কথা বলেছেন। পুকুরের যতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটুকু পুনরায় সাবেক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে।