শ্রীপুরে ফরেস্টার মনিরুলের প্রশ্রয়ে বনভূমি দখল চলছেই
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের বনভূমিতে পোলট্রি খামারের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।
শ্রীপুর রেঞ্জের সিংড়াতলী বিট এলাকার লোহাগাছ মৌজায় এ দখলযজ্ঞ চললেও দেখার যেন কেউ নেই।
বিষয়টির ওপর গত ১৬ ও ২৯ জুলাই আলোকিত নিউজ ডটকমে দুটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর মাপজোখ করেই দায় সারছে কর্তৃপক্ষ।
ফলে ৫৩ শতাংশ বনভূমি বেহাতের পাশাপাশি একই দাগে আরও ৩৪ শতাংশ বনভূমি দখলের পাঁয়তারা চলছে।
সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যমতে, সিরাজগঞ্জের মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ভুট্টো ওই এলাকায় জমি কিনে পোলট্রি খামার গড়ে তুলেন। এখন উত্তর পাশের বনভূমিতে খামার সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
চলতি বছর নতুন একটি শেড করে মুরগি উঠানো হয়েছে। বড় পরিসরে আরেকটি পাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ চলছে।
স্থাপনা দুটির সিএস ও এসএ ৬৬ নং দাগের ৫৩ শতাংশ জমি বন বিভাগের নামে গেজেটভুক্ত। আশপাশের জমিও সংরক্ষিত বনভূমি।
গেজেটের ৪৪ নং জেএলে দাগটি ১১৫/৬৬ বাটায় উল্লেখ রয়েছে। এখানে ৬৬ মূল দাগ হলেও বিট অফিস ১১৫-কে মূল দাগ বলে ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে।
একাধিক বন ও ভূমি কর্মকর্তা আলোকিত নিউজকে জানিয়েছেন, বাটা দাগে নিচেরটা মূল দাগ হয়। আর ৬৬ দাগটি পার্ট নয়, সম্পূর্ণ গেজেটভুক্ত।
ভুট্টোর ভাষ্যমতে, সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন ওই জমি গেজেটভুক্ত নয় মর্মে এসিল্যান্ড বরাবর চিঠি দেন। পরে পৌর ভূমি অফিস তার নামজারি ও জমাভাগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
একজন বন কর্মকর্তা বলেন, গেজেটের ব্যাপারে আপত্তি থাকলে আদালতে মামলা করে সংশোধনীর রায় পেতে হবে। অন্যথায় জমি বেচাকেনা ও স্থাপনা নির্মাণ দণ্ডনীয় অপরাধ।
এদিকে বিট কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এককভাবে কথিত ডিমারকেশনের খুঁটি পুঁতে দখলের বৈধতা দিচ্ছেন। এসবে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : শ্রীপুরে ৩২ লাখ টাকার বনভূমি দখল : ডিএফও নীরব!