গাজীপুরের বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা এমদাদের ঘুষ বাণিজ্য রমরমা
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে জুয়ার আসর ও অবৈধ গ্যাসলাইন থেকে দুই হাতে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হক। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হক নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তার যোগসাজশে গাছপালা কেটে বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে।
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার পাশে দীর্ঘদিন ধরে প্যান্ডেল উঠিয়ে বড় জুয়ার আসর চলছে। এর নেতৃত্বে আছেন আরিফ ওরফে মুরগি আরিফ। জুয়ার ব্যবসায়ীরা প্যান্ডেলের পশ্চিম পাশের গজারি বনের মধ্য দিয়ে গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করেছেন। এ রাস্তায় জুয়াড়ি, দর্শক ও তাদের যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া কপিচ গাছ কেটে জুয়ার আসরের জন্য টয়লেট ও জেনারেটরের স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, জুয়ার আসর থেকে বিট অফিসে দৈনিক ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ থেকে বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হক পান পাঁচ হাজার টাকা। বাকি পাঁচ হাজার টাকা পান কর্মচারীরা। আসরে গিয়ে টাকা আনেন বন প্রহরী মেহেদুল ইসলাম ও শেখর চন্দ্র দাস।
বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাউপাড়া বিটে আছেন ১০ মাস ধরে। তার নির্দেশে জুয়ার আসর থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। হিসাব করে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ টাকা ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে ঢুকেছে।
এদিকে বিট এলাকার গজারিয়া পাড়ায় বনের জমি বেশি। ওই এলাকায় ইতিমধ্যে চার শতাধিক বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়া হয়েছে। আরও সংযোগের প্রক্রিয়া চলছে।
একাধিক এলাকাবাসী জানান, তারা বৈধভাবে গ্যাস না পাওয়ায় অবৈধভাবে সংযোগ নিচ্ছেন। বনের জমির মাটি কেটে লাইন বসানোর কারণে বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হক প্রথমে বাধা দেন। পরে যোগাযোগ করলে তিনি চার লাখ টাকা দাবি করেন। এরই মধ্যে তাকে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা না দেওয়ায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
অপরদিকে গজারিয়া পাড়ার ব্র্যাক অফিসের পূর্ব দিকে মর্দপাড়া। সেখানে ১০০ ট্রাক বালু নিচ্ছেন জনৈক ব্যক্তি। বনের মধ্য দিয়ে বালু নেওয়ায় বিট কর্মকর্তাকে ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।