কাপাসিয়ায় জাল টাকা : বিদেশিদের মোবাইল উধাও!
পর্ব-৩
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জাল টাকার বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কাজ এগোচ্ছে না।
পুলিশ মামলার এজাহার ও জব্দ তালিকায় বিদেশিদের দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধারের তথ্য উল্লেখ না করায় সন্দেহ বাড়ছে।
উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের মৈশন উত্তরপাড়া এলাকার সোলায়মান হোসেনের বাড়ি থেকে গত ৭ মে ওই বাক্স উদ্ধার হয়।
এতে পাওয়া যায় ১০২টি এক হাজার টাকার জাল নোট ও বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির কার্টিজ পেপার।
ঘটনাস্থল থেকে সোলায়মানের দুই ছেলে সাখাওয়াত হোসেন আলমগীর ও সোহানুর রহমানসহ দুই বিদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য আলমগীরের ছোট ভাই সোহরাব জাকির কৃষি ব্যাংকের আমরাইদ বাজার শাখার ম্যানেজার।
সেদিনকার ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে আলোকিত নিউজের অনুসন্ধানে ওঠে আসছে রহস্যের এপিঠ-ওপিঠ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ম্যানেজারের দুই ভাইকে গ্রেফতার করলেও প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় ক্যামেরার সামনে রাখেনি। বিদেশিদের মোবাইল ওসির উপস্থিতিতে ম্যানেজারের মায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
ম্যানেজারের মা মোমেলা খাতুন বলেন, বিদেশিদের দুটি মোবাইল আমার কাছে ছিল। আমি পুলিশকে দিয়েছি।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানার এসআই শাহজাহান মিয়া মোবাইল পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন।
পর্যবেক্ষক মহল বলছে, মামলাটি স্পর্শকাতর। কল লিস্টের সূত্র ধরে চক্রের সবাইকে শনাক্ত করা সহজ হত। কিন্তু মোবাইল লুকানো অপরাধীদের রক্ষা করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এ ছাড়া এজাহারে কার্টিজ পেপারের সংখ্যা পাঁচ বান্ডিল উল্লেখ করা হয়েছে। এটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, চার-পাঁচ বান্ডিলে টাকা বানানোর ৪০০-৫০০ কার্টিজ ছিল। একটু বেশিও হতে পারে।
মিয়ার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির একাধিক নেতাসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাক্সে জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ কার্টিজ ছিল। মামলার ভিত দুর্বল করার উদ্দেশে এত অল্প উল্লেখ করা হতে পারে।