নতুন সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ চৌকস কর্মকর্তা
আলোকিত প্রতিবেদক : দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গর্বের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম।
সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অভূতপূর্ব অবদান রাখছে এই বাহিনী।
সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতার অধিকারী হতে হয়।
সেগুলো হল শিক্ষাগত যোগ্যতা, নেতৃত্ব, অপারেশনাল কমান্ড, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, সামরিক বিদ্যা এবং সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বস্ততা।
উল্লেখিত গুণাবলি বিবেচনায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৬তম সেনা প্রধান নিয়োগ দিয়েছেন।
আজিজ আহমেদ বর্ণিত গুণ ও দক্ষতার নিরিখে উত্তীর্ণ একজন চৌকস সামরিক কর্মকর্তা।
তিনি ১৯৬১ সালে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতা মৃত আবদুল ওয়াদুদ আহমেদ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন।
তিনি মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৭ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
আজিজ আহমেদ ১৯৮০ সালে কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি থেকে টেক্সটাইল টেকনোলজি সম্পন্ন করেন।
তিনি ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস ও ১৯৯৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফেন্স স্টাডিজ সম্পন্ন করেন।
এ ছাড়া ২০০৮ সালে এমএসসি (টেকনিক্যাল) ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইন বাংলাদেশ থেকে এমবিএ (এক্সিকিউটিভ) সম্পন্ন করেন।
আজিজ আহমেদ অষ্টম বিএমএ কোর্সের সাথে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন মিলিটারি একাডেমি থেকে পাসিং আউটের পর আর্টিলারি কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন।
তিনি বেসিক ইন্টেলিজেন্স কোর্স ও মিলিটারি সায়েন্স কোর্সে দ্বিতীয় স্থান অর্জনে সক্ষম হন।
আজিজ আহমেদ কর্মজীবনের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামে জিএসও-৩ (অপারেশন), পদাতিক ব্রিগেডের মেজর, সেনা সদর প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের গ্রেড-২ স্টাফ এবং বেতন ও ভাতা পরিদপ্তরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বিজিবির মহাপরিচালক, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
আজিজ আহমেদ ২০১২ সালের ৭ মে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বিজিবিএম, পিবিজিএম ও বিজিবিএমএস পদকে ভূষিত করা হয়।