গাজীপুরের সাফারি পার্কে এসিএফের ‘এসিবিলাস’, বনায়নে দুর্নীতি

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি সংঘটিত হচ্ছে।

এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশীর্বাদে পার্কটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান এখন বেপরোয়া।

তিনি এখানে আছেন প্রায় তিন বছর ধরে। তার ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে অনুসন্ধান করছে আলোকিত নিউজ ডটকম। আজ প্রকাশিত হল দ্বিতীয় পর্ব।

এসিবিলাস : সাফারি পার্কের ভেতরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভিআইপি ব্যক্তিদের জন্য বন বিলাস রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে সরকারি অর্থে স্থাপন করা হয়েছে কয়েকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এয়ার কন্ডিশনার।

এসিএফ তবিবুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজের ও পরিবারের সুবিধার জন্য দুটি এসি খুলে নেন। একটি পার্ক অফিসের দ্বিতীয় তলায় তার রুমে ও অপরটি তার বাসভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হয়।

অফিসে এসি স্থাপন

রেস্ট হাউজের দোতলার পূর্ব পাশে দুটি এসি ছিল। একটি সেখান থেকে ও অপরটি ভেতর থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে।

একজন কর্মকর্তা জানান, অভ্যন্তরীণ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে বন অধিদপ্তর থেকে তদন্ত হয়েছিল। তখন এসিএফ খবর পেয়ে অফিসের এসি বহাল রাখলেও বাসারটি সাময়িক খুলে রাখেন।

তিনি আরও জানান, এসিএফ বাসভবনের দোতলার পাঁচটি রুম একাই ব্যবহার করছেন। অথচ নিচ তলার দুই রুমে দুটি পরিবার থাকে।

বাগান সৃজনে দুর্নীতি : গত বছর পার্ক অফিস সংলগ্ন উত্তর পাশের প্রায় দুই বিঘা জমিতে আকাশমনি চারা রোপণ করা হয়। এর মধ্যে সিংহভাগ চারা ইতিমধ্যে মরে গেছে। জীবিত চারাগুলোও মরার উপক্রম হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাগান সৃজনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় ও বাগানের প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়নি। বরাদ্দের একটি অংশ কৌশলে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এসিএফ তবিবুর রহমানের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।

আরও পড়ুন : গাজীপুরের সাফারি পার্কে ‘বাণিজ্য রক্ষায়’ এসিএফ তবিবুরের দৌড়ঝাঁপ!

আরও খবর