কাপাসিয়ার আড়ালে ৩ অবৈধ ইটভাটার কৃষি জমি গ্রাস
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কৃষি জমি বিনষ্ট করে এক গ্রামে গড়ে উঠেছে তিন ইটভাটা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে তাদের দৌরাত্ম্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল বাজারের পাশে তিনটি ইটভাটা পাশাপাশি। দুটি পুরনো। আরেকটি নতুন।
উত্তর পাশের এমকেবি ভাটার মালিক স্থানীয় মনির হোসেন মোল্লা। তার ভাটা চলছে প্রায় এক যুগ ধরে।
এর দক্ষিণ পাশের এবিসি ভাটার মালিক খন্দকার আলমগীর হোসেনসহ দুজন। তাদের ভাটা চলছে গত পাঁচ বছর ধরে।
এবিসির দক্ষিণ পাশে এফএফবি ভাটার নির্মাণ কাজ চলছে। ভাটাটির মালিক খোকা মোল্লাসহ চারজন।
এর মধ্যে এমকেবি আনুমানিক ৩৫ বিঘা ও এবিসি ২০ বিঘা কৃষি জমি বিনষ্ট করেছে। এফএফবি বিনষ্ট করছে ৩০ বিঘা।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন-২০১৩ অনুযায়ী, বছরে একাধিকবার কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত জমিতে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
এলাকাবাসী জানান, ওই জমিতে বছরে দুই-তিন ফসল হত। ইটভাটা গড়ে ওঠায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে জমি ভাড়া দিয়েছেন।
তারা আরও জানান, পাশের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ভাটাগুলোতে আনা হচ্ছে। নতুন ভাটায় নদের বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এবিসির মালিক খন্দকার আলমগীর হোসেন আলোকিত নিউজকে বলেন, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছি। তারা প্রতি বছর এসে দেখে যায়।
এমকেবির মালিক মনির হোসেন মোল্লাও একই কথা বলেন। এফএফবির মালিককে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাকছুদুল ইসলাম আলোকিত নিউজকে জানান, নতুন ভাটাসহ দুটিকে গত মার্চে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মধ্যের অর্থাৎ এবিসি ভাটাকে জরিমানা করা হয়নি। আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে।