গাজীপুরের পিরুজালীতে মেম্বারের সহযোগিতায় জমি দখলের পাঁয়তারা
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে মেম্বারের সহযোগিতায় এক অটোরিকশা চালকের জমি দখলের পাঁয়তারা চলছে।
এ ঘটনায় গত ১৬ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জয়দেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলার পিরুজালী ইউনিয়নের পিরুজালী হাজীপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান অটোরিকশা চালিয়ে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি ২০০৯ সালে তার বসতবাড়ি সংলগ্ন আরএস ৩১৯৩ নং দাগের পৌনে দুই শতাংশ জমি প্রতিবেশী আবদুর রহিমের কাছ থেকে সাফ-কবলা দলিলমূলে ক্রয় করেন।
পরে খাজনা-খারিজ করে তাতে রান্নাঘর, বাথরুম ও গোয়ালঘর নির্মাণ করা হয়। রোপণ করা হয় কিছু গাছ।
দলিল দাতার ভাই রমিজ উদ্দিন হঠাৎ ওই জমির এক শতাংশ দাবি করেন। জমি না দেওয়ায় শুরু হয় নানা অত্যাচার।
গত বছর জমি দখলের চেষ্টা চালানো হয়। আতাউর রহমান থানায় অভিযোগ করলে উল্টো পুলিশ তাকে আটক করে হয়রানি করে।
চলতি বছরের অক্টোবরে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ সরকার মঞ্জুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আনোয়ারা হক। তখন তিনি তিনজন গ্রাম পুলিশ নিয়ে উপস্থিত থেকে জমিতে খুঁটি স্থাপন করান।
আতাউর রহমান আলোকিত নিউজকে বলেন, মেম্বাররা আগে থেকেই আমার প্রতিপক্ষকে সহযোগিতা করছেন। জমির বিষয়ে পরিষদে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি কোন নোটিশও পাইনি।
তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ অর্থশালী। তারা প্রতিনিয়ত হামলা-মামলার হুমকি ও গাছ বিক্রিতে বাধা দিচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতা ও হতাশায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে রমিজ উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।
মহিলা মেম্বার আনোয়ারা হক আলোকিত নিউজকে বলেন, পরিষদের সিদ্ধান্তে আগে একবার খুঁটি দেওয়া হয়েছিল। আতাউর খুঁটি তুলে ফেলায় চেয়ারম্যানের অনুমতিতে আবার দেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ সরকার মঞ্জু আলোকিত নিউজকে বলেন, এটা তার জানা নেই। মঙ্গলবার জেনে জানাবেন।
এদিকে ভুক্তভোগী আতাউর রহমান অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গেলে সেখান থেকে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন করে বিষয়টি দেখতে বলা হয়। পরে তিনি থানায় গিয়ে ওসির পরামর্শে সাধারণ ডাইরি করেন। ডাইরি নম্বর ৯০৪।
পরে এএসআই মাহফুজকে জিডিটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অদ্যাবধি তদন্তে না গিয়ে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ।
জানতে চাইলে এএসআই মাহফুজ আলোকিত নিউজকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির জন্য আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।