কাপাসিয়ার টোকে রাস্তা ভাঙছে প্রিটি ব্রিকস, বাড়ছে দুর্ভোগ

কাপাসিয়া প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রিটি অটো ব্রিকসের মালবাহী যানবাহনে গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে।

এতে দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। অথচ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার টোক বাজার থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে পূবাইল বাজারের পাশে প্রীতি গ্রুপের প্রিটি অটো ব্রিকস কারখানা অবস্থিত। বিভিন্ন এলাকা থেকে রাত-দিন ট্রাক, ড্রাম ট্রাক ও ট্রলিতে করে বিপুল পরিমাণ মাটি এনে রাস্তার পাশে স্তূপ করা হচ্ছে।

এর ফলে রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে ও ভেঙে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলেই চলাচলে দুর্ভোগ বেড়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, প্রিটির মাটি ও ইটবাহী গাড়ির কারণে শুষ্ক মৌসুমেও ধুলাবালির অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। কারখানা কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় পানি ছিটায় না। রাস্তা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও দূষণের শিকার হচ্ছে।

অটোচালক রফিকুল ও কবিরসহ কয়েকজন আলোকিত নিউজকে বলেন, কোম্পানির মালবাহী গাড়ির কারণে রাস্তার কার্পেটিং ওঠে যাচ্ছে। গর্তে পড়ে অটো উল্টে যায়। যাত্রীরাও আঘাত পান। ঘন ঘন অটো ঠিক করতে হয়।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার কবির হোসেন আলোকিত নিউজকে বলেন, প্রিটি ব্রিকস রাস্তাঘাটের চরম ক্ষয়ক্ষতি করছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যকে মৌখিকভাবে জানালেও কোন প্রতিকার হয়নি।

ভাঙা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুর রহিম মুহিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, প্রিটি ব্রিকস রাস্তার দুই পাশে মাটি স্তূপ করে রাখায় ও হেভিওয়েট গাড়ি চলায় রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হবে।

প্রকৌশলী আরও বলেন, রাস্তা ভাঙার বিষয়ে প্রিটি ব্রিকসের নিজেদের দায়িত্ব আছে। আগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের সাথে কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে প্রিটি ব্রিকসের ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা ইমন হোসেন আলোকিত নিউজকে বলেন, তিনি রাস্তার কাজ করে থাকেন। তারপরও তাকে নিয়ে সবার সমস্যা। যে যত অভিযোগ করুক, কোন সমস্যা নেই।

পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, প্রিটি ব্রিকসের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে ভোগান্তি আরও বাড়বে। প্রশাসন চাইলেই ব্যবস্থা নিতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, গত বছরের শেষের দিকে রায়েদ ইউনিয়নের হাইলজোর গ্রামে ড্রাম ট্রাকের কারণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে খবর পেয়ে বিদায়ী ইউএনও ইসমত আরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ট্রাককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আরও খবর