গাজীপুর তিতাসে ‘দুর্নীতির বোয়াল’ আইয়ুব এখনো বহাল!
নিজস্ব প্রতিবেদক : তিতাস গ্যাসের গাজীপুর আঞ্চলিক অফিসে ‘দুর্নীতির বোয়াল’ খ্যাত আবু আইয়ুব এখনো বহাল। কর্তৃপক্ষের নমনীয়তায় নানা কৌশলে তার বাণিজ্যও অব্যাহত রয়েছে।
সহকারী প্রকৌশলী আবু আইয়ুব গাজীপুর তিতাসে অনিয়ম-দুর্নীতিতে অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা। বেপরোয়া বাণিজ্যের জন্য একাধিক ঠিকাদার ও অফিসের একাধিক কর্মচারী তাকে ‘দুর্নীতির বোয়াল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আবু আইয়ুব মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। সংযোগের ফাইল আটকিয়ে প্রকাশ্যে নিয়েছেন ঘুষ। এখন শিল্প এলাকার দায়িত্বে আছেন।
কয়েকজন ঠিকাদার ও গ্রাহক জানান, আবু আইয়ুব ৮-১০ জন ঠিকাদার নিয়ে সিন্ডিকেট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নতুন সংযোগের জরিপে তাকে ন্যূনতম এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হত। সংযোগ বড় হলে ১০-২০ হাজার টাকা বা এর বেশিও লাগত। অবৈধ সংযোগের বৈধকরণে নিতেন ১০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া লাইন বৃদ্ধির জরিপে ৫০০ ও সমাপনী ফাইলে ৫০০ টাকা করে দিতে হত। টাকা না দিলে কাজ আটকে হয়রানি করা হয়। খরচ বেশি হওয়ায় গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, আবু আইয়ুব প্রায় চার হাজার ফাইলের কাজ করেছেন। এগুলো থেকে কম করে নেওয়া হলেও ঘুষের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা। তার নামে-বেনামে অনেক অর্থ-সম্পদ রয়েছে।
আবু আইয়ুবের দুর্নীতির ওপর ইতিমধ্যে দৈনিক অন্যদিগন্তে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ তাকে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মিটার রিডিংয়ের দায়িত্ব দেয়। এতে তার দৌরাত্ম্য কমলেও বাণিজ্য চাপা পড়ে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, আবু আইয়ুবের দুর্নীতির শাস্তি হওয়া উচিত। নয়তো আবারও তার দৌরাত্ম্য বেড়ে যাবে।