গাজীপুরে ভাওয়াল রাজার ডরমিটরি দখল করে ভাঙা-গড়ার খেলা!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের রাণী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন নষ্ট ও মোটা অঙ্কের সরকারি বাসা ভাড়া আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, রাণী বিলাসমণির ইংরেজি শিক্ষক আসাদুজ্জামান নূর একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি হয়েও এক যুগ ধরে রাজদীঘির পশ্চিম পাড়ের ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজার ডরমিটরি দখলে রেখেছেন।
সম্প্রতি আসাদুজ্জামান নূর বাসভবনটি সংস্কারের নামে নতুন স্থাপনার নির্মাণ কাজ করেন। ডরমিটরির দক্ষিণ অংশে অন্তত ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের পাকা স্থাপনা করা হয়েছে। আর উত্তর অংশের বারান্দা সংস্কার করতে গিয়ে ডরমিটরির কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এসব করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নিয়ম অনুযায়ী, মহানগর এলাকায় সরকারি বাসভবন ব্যবহার করলে বেতন থেকে ৪৫ ভাগ কেটে রাখার কথা। কিন্তু আসাদুজ্জামান নূরের ক্ষেত্রে বিধি বাম। তিনি অদ্যাবধি কোন ভাড়া পরিশোধ করেননি।
হিসাব করে দেখা গেছে, আসাদুজ্জামান নূর গত এক যুগ ধরে অনিয়মটি করে আসছেন। এভাবে তিনি সরকারকে অন্তত নয় লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছেন। বিষয়টি জেনেও নীরব রয়েছেন প্রধান শিক্ষক মাসুদা খানম।
অপরদিকে শিক্ষক আসাদুজ্জামান নূর এবার ভর্তি কোচিং বাণিজ্য করেছেন। কোচিং ডরমিটরিতেই করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ছিল অর্ধশত। ফি নেওয়া হয় পাঁচ হাজার টাকা করে।
একাধিক শিক্ষক জানান, আসাদুজ্জামান নূরের বাড়ি মহানগরীর ভানুয়ায়। স্কুলে দলাদলি করায় ২০০৯ সালে তাকে মানিকগঞ্জে বদলি করা হয়। ২০১১ সালে তিনি আবার এখানে আসলে তাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।
পরে আসাদুজ্জামান নূর জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কালীগঞ্জ হয়ে গত বছরের অক্টোবরে রাণী বিলাসমণিতে আসেন। এরপর থেকে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে শিক্ষক আসাদুজ্জামান নূরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আইন মেনে সব করছেন বলে দাবি করেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা আলোকিত নিউজকে বলেন, রাণী বিলাসমণির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক। ব্যবস্থা তো তিনি নেবেন। আমাকে ডাকলে আমি মতামত দেব।