কাপাসিয়ার বড়চালা মাদ্রাসায় জাল নিবন্ধন ও সনদে ৪ শিক্ষক নিয়োগ!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ার বড়চালা আমির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় জাল নিবন্ধন ও সনদে চারজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার টোক ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় ওই মাদ্রাসা অবস্থিত। মাদ্রাসাটিতে সুপারের স্বেচ্ছাচারিতায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। ফলে শিক্ষার মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
জাল নিবন্ধন : বড়চালা আমির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় জাল নিবন্ধন ও সনদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা হলেন কম্পিউটার শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল, সমাজ শিক্ষক বিলকিস বেগম, রুবেল আহম্মেদ ও কৃষি শিক্ষক কানিজ ফাতেমা।
এর মধ্যে ২০১১ সালে নিয়োগ পাওয়া ইব্রাহিম খলিল এবং ২০১৩ সালে নিয়োগ পাওয়া বিলকিস বেগম ও কানিজ ফাতেমার নিবন্ধন জাল।
আর ২০১৪ সালে নিয়োগ পাওয়া রুবেল আহম্মেদের বিএড কোর্সের সনদও জাল ছিল। পরে পরীক্ষা দিয়ে চলতি বছর সনদ জমা দেন। তবে জাল সনদেই তিনি বিএড স্কেল মঞ্জুর করান। ঘাগটিয়া চালার ব্যক্তি মালিকানাধীন রেজাউল হক মহিলা কলেজেও তার নিয়োগ রয়েছে।
এ ছাড়া মাদ্রাসার অফিস সহকারী আসাদুল্লাহকেও গোপনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এ ব্যাপারে বিলকিস বেগমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, সুপার হুজুর বলেছেন কোন সমস্যা হবে না। এখন আপনারা বললে নিবন্ধন পরীক্ষা দিব।
কানিজ ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। পরে তার স্বামী ফোন করে নিউজ না করার অনুরোধ জানান।
ইব্রাহিম খলিলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অপর অভিযুক্ত রুবেল আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি পাশ কাটান।
পরে সুপার আকবর আলী শেখের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি আমার শিক্ষকদের ফোন করছেন কেন? যা পারেন করেন।