গাজীপুরে ল্যাব ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে স্মার্ট মেহেদী কারখানা!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে স্মার্ট ব্র্যান্ডের তাসমিয়া কসমেটিকস কারখানার বিরুদ্ধে ল্যাব ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মহানগরীর রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার দক্ষিণ দিক দিয়ে গজারিয়া পাড়ার মিয়াবাড়ি রোডে তাসমিয়া কসমেটিকস এন্ড টয়লেট্রিজ কারখানা অবস্থিত। এর মালিক তাওহীদ আহমেদ তপন। নয় বছর ধরে তাদের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে।
পণ্যগুলোর মধ্যে স্মার্ট অ্যাকটিভ গোল্ড মেহেদী বেশ পরিচিত। সাথে রয়েছে স্মার্ট ফেস ওয়াশ, স্মার্ট ক্রিম, স্মার্ট ঘামাচি পাউডার, নবগুরু তেল ইত্যাদি।
কারখানায় গিয়ে ম্যানেজার রায়হান আলী খানের সাথে কথা হয় আলোকিত নিউজ টিমের।
তিনি জানান, কারখানাটিতে ৩০টি পণ্য উৎপাদন করা হয়। তবে কাগজপত্র দেখাতে পেরেছেন মাত্র ১৫টির।
চার তলা ভবনের দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলায় চলে উৎপাদন। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ শ্রমিকরা দলে দলে কাজ করছেন। স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় কারও হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক নেই। শ্রমিকদের অনেকে শিশু। বিশেষ করে চতুর্থ তলায় ঘামাচি পাউডারের কাজের পরিবেশ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
এরপর মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ল্যাব দেখতে চাইলে ম্যানেজার পশ্চিম পাশের তিন তলা ভবনে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে ল্যাবের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ম্যানেজার ও কেমিস্ট পরিচয়ে জয়নাল আবেদীন বললেন, নিচ তলায় ল্যাব হবে। প্রস্তুতি চলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেখতে চাইলে ম্যানেজার রায়হান আলী খান ফাইল সামনে আনেন।
এতে দেখা যায়, কারখানাটি প্রথম ছাড়পত্র নেয় ২০১২ সালে। এরপর আর নবায়ন করা হয়নি। ওই ছাড়পত্রের ৬ নং শর্তে শুধুমাত্র কসমেটিকস পণ্য উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। টয়লেট্রিজ পণ্যের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
পরে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামাল হোসেন খান রিপনকে ফোন করেন ম্যানেজার। রিপন ফোনে বলেন, আপনারা এত কিছু জানতে পারেন না। আমি গাজীপুর এসে কথা বলব।
একাধিক এলাকাবাসী বলেন, স্মার্ট মেহেদী ব্যবহার করে একবার কয়েকজনের হাত ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত।