গাজীপুরে মোশারফ কম্পোজিটের বনদস্যুতা উদঘাটন : অভিযুক্তরা বহাল!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলসের বনদস্যুতা উদঘাটন করেছে বন বিভাগ।
ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি) জহির উদ্দিন আকনের নির্দেশে তা উদঘাটিত হয়।
মোশারফ কম্পোজিট ভাওয়াল রেঞ্জের ভবানীপুর ও বানিয়ারচালায় অবস্থিত। তাদের দখলীয় বনভূমি ২৪ শতাংশ।
এর আগে মোশারফ কম্পোজিটের পক্ষে কৌশলে তথ্য গোপন করেন ইতিমধ্যে অবসরে যাওয়া ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ হোসেন ও সাবেক ভবানীপুর বিট কর্মকর্তা (বর্তমানে বনখড়িয়া) আবুল হাসেম চৌধুরী।
ঘটনা উদঘাটনকারী তিনজন হলেন এসিএফ কাজী নূরুল করিম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা (বর্তমানে বিকে বাড়ী বিট) সাইফুল ইসলাম ও ভবানীপুর বিট কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন।
যেভাবে উদঘাটন : মোশারফ কম্পোজিট ২০১০ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যৌথ পরিদর্শন করেন। ২০১১ সালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কারখানার ভেতরে বনভূমি রয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিয়ে ছাড়পত্র না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
গত বছর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জমির অবস্থানগত বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। পরে ডিএফও জহির উদ্দিন আকনকে দায়িত্ব দেন প্রধান বন সংরক্ষক। দায়িত্ব পেয়ে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিলে প্রথমে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা কারখানার ভেতরে বনের কোন জমি নেই বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় মন্ত্রণালয় থেকে আবারও প্রতিবেদন চাওয়া হয়। এবার এসিএফকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন ডিএফও। দায়িত্ব পেয়ে কমিটির সদস্যরা কারখানাটি পরিদর্শন ও মাপজোখ করেন।
এতে বেরিয়ে আসে গেজেটভুক্ত সিএস ৪৮৭ নং দাগের ২৪ শতাংশ মূল্যবান বনভূমি দখলের ঘটনা। দখলীয় অংশে কারখানার মালিক মোশারফ হোসেন পুস্তি পাঁচ তলা অফিসার্স ভবন নির্মাণ করেছেন।
এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে দখলকারীর সাথে যোগসাজশ করে বনভূমি বেহাতের চেষ্টাকারী শাহ মোহাম্মদ হোসেন ও আবুল হাসেম চৌধুরীর বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।