গাজীপুরে বনের মাটি লুট : ঝুঁকিতে অর্ধশত গজারি গাছ

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের জাতীয় উদ্যান রেঞ্জে সংরক্ষিত বনভূমি দখল থামছে না।

ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা চেষ্টা করলেও কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে তা অব্যাহত রয়েছে।

সম্প্রতি বাউপাড়া বিটের গজারিয়া পাড়ার মানিকদীঘি এলাকায় বন বিনাশের তৎপরতা শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকদীঘির পূর্ব পাশে বনভূমির ভেতরে এক একর সাড়ে তিন শতাংশ জোত জমি। জমির সাইনবোর্ডে বায়নাসূত্রে মালিক তিনজন। তারা হলেন এলাকার ফারুক হোসেন মোল্লা, মোফাজ্জল হোসেন ও আবু সুফিয়ান।

এরই মধ্যে অধিকাংশ জমি বিক্রি করা হয়েছে। পরে একটি বাড়ির ১০টি রুমের কাজ শুরু হলে ফারুক ভিটিতে মাটি দেওয়ার ঠিকাদারি নেন।

এরপর উত্তর পাশের বনভূমি থেকে শুরু হয় মাটি কাটা। কিছু গজারি গাছের শিকড় কেটে গোড়া থেকেও মাটি নেওয়া হয়েছে। এতে সৃষ্ট বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ভাঙনের উপক্রম হয়েছে।

ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে প্রায় অর্ধশত মূল্যবান গাছ। কিছু গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

উপস্থিত একজন জানান, ওই জমির পাকা বাড়িটি আগে বনভূমি দখল করে হয়েছে। এটি ফারুক ব্যবহার করবেন। তিনি বনের জমিতে কিছু গাছও লাগিয়েছেন। রাস্তার জন্য আরও দখল করা হবে।

তিনি আরও জানান, ফারুক বনপ্রহরী নুরুল ইসলামের মাধ্যমে বিট অফিসে এক লাখ টাকা দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের ডিমারগেশনও নেই।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফারুক হোসেন মোল্লা মোবাইলে আলোকিত নিউজকে বলেন, কিছু মাটি কাটা হয়েছে। আপনি আমার সাথে দেখা করেন।

এ ব্যাপারে বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি মাটি কাটার বিষয়টি জানি না। ফারুকের বিরুদ্ধে পাঁচটি বন মামলা আছে।

আরও খবর