গাজীপুর চৌরাস্তায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ছিনতাইকারীরা এখন বেপরোয়া। রাত-দিন সুযোগ বুঝে দিচ্ছে হানা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চৌরাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স এবং মহাসড়কের পাশে ভোগড়া ও নাওজোড় পুলিশ ফাঁড়ি থাকার পরও ছিনতাই থামছে না।
রাতে জয়দেবপুর থানা পুলিশ টহল দিলেও ভোরের দিকে তারা বিশ্রাম নেন। এ ছাড়া তাদের বেশির ভাগ সময় কাটে চৌরাস্তায়। এই সুযোগে মাঠে নামে ছিনতাইকারীরা।
আলোচনা শুনে জয়দেবপুর থানার এসআই রুহুল আমিন বলেন, চৌরাস্তা এলাকায় ছিনতাই হয়। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে এসে ছিনতাইয়ের শিকার একজনকে আমি উদ্ধার করেছি।
গত ২৮ জুলাই ভোরে চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ছিনতাইয়ের শিকার হন দৈনিক অন্যদিগন্তের নিজস্ব প্রতিবেদক মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান আলোকিত নিউজকে জানান, তিনি রাতে জয়দেবপুরে একটি কাজে এসে গাড়ি না পাওয়ায় দেরি হয়। ভোরে উত্তরার বাসায় যেতে চৌরাস্তা এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কে চৌধুরী ফিলিং স্টেশনের পাশে তিন ছিনতাইকারী তাকে ঘিরে ফেলে। একজন পিস্তল ও একজন ছুরি ধরে। অপরজন তার সাথে থাকা দুটি মোবাইল ফোন, ডিএসএলআর ক্যামেরা ও সাড়ে চার হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় বাধা দিতে চাইলে ছিনতাইকারীরা তার পিঠে ও কোমরের নিচের অংশে দুটি কোপ দেয়। এ অবস্থা দেখে যানজটে থাকা ট্রাক থেকে নেমে একজন এগিয়ে আসলে তাকেও জখম করা হয়। পরে ছিনতাইকারীরা মহাসড়ক পার হয়ে পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায়।
এরপর তিনি প্রথমে চৌরাস্তার মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তার দুটি জখমেই সেলাই লেগেছে।
এ ঘটনায় মিজানুর রহমান গত ৩০ জুলাই জয়দেবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসআই আবদুল মালেককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি গড়িমসি করে অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা নেননি।
বিষয়টি গত রবিবার জয়দেবপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলামকে জানালে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বললেও কোন তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি।