গাজীপুরে ফরেস্টার আরিফের লুটপাটের তদন্ত করলেন সিএফ
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাউপাড়া বিটে লুটপাটের তদন্ত করেছে বন বিভাগ।
মঙ্গলবার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. জাহিদুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাথে ছিলেন ডিএফও জহির উদ্দিন আকন।
তারা আলোকিত নিউজ ডটকমের সম্পাদক রুবেল সরকারকেও বিষয়টি মোবাইলে অবহিত করেন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট আলোকিত নিউজে ‘গাজীপুরের বাউপাড়া বিটে ফরেস্টার আরিফের আখেরি লুটপাট’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ নিয়ে চলে ব্যাপক তোলপাড়। পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
এদিকে বিট কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলাম ও বনপ্রহরী নুরুল ইসলাম স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরাকে প্রভাবিত করেন। পরে তিনি লোকজন নিয়ে সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে আলোকিত নিউজের সম্পাদককে ফোন করে চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেন।
মঙ্গলবারও তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে সম্পাদকের নাম নিয়ে আবোল-তাবোল বকেন এই কাউন্সিলর। অথচ প্রতিবেদনে তার ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি। তিনি সাবেক বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হককে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ সমাচার : ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ২ নং গেটের পশ্চিম পাশের ঘন গজারি বনটি সংরক্ষিত কোর জোনের আওতাধীন। এখান থেকে বনের বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে ১২ ফুট প্রস্থের রাস্তা। যা আগে সাধারণ ছিল।
প্রায় আধা কিলোমিটার ভেতরে দুটি স্থানে গড়ে উঠেছে রুপম এগ্রো কারখানা ও বাংলোবাড়ি। কারখানাটির নতুন তিন তলা ও বাংলোবাড়ির দোতলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।
রাস্তাটিতে প্রাথমিকভাবে ইট ও বালু ফেলা হয়েছে। চলছে ট্রাক, কারখানার কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইভেটকার। প্রতিষ্ঠান দুটিতে চলাচলের জন্য গাছ কেটে ১০ ফুট প্রস্থের রাস্তা করা হয়েছে। কারখানার গেটের সামনেও দখল করা হয়েছে প্রায় চার শতাংশ বনভূমি।
এভাবে প্রায় দেড় বিঘা সরকারি সম্পদ বেহাত করে ওই বিট কর্মকর্তা ও বনপ্রহরী বাণিজ্য করেছেন। এর মধ্যে রুপম এগ্রোর কাছ থেকে তারা পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে বন বিভাগের একজন জানান।