গাজীপুরের শিরিরচালায় বনের জমিতে অবৈধ ফিড মিল!

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর সদরের শিরিরচালায় বনের জমিতে অবৈধ ফিড মিল গড়ে উঠেছে।

ভাওয়াল রেঞ্জের ভবানীপুর বিট এলাকার ওই কারখানার নাম মর্ডান ফিড মিল।

সরেজমিনে জানা যায়, বাঘের বাজার হয়ে কাজী হসপিটালের পূর্ব পাশে শিরিরচালায় ৬৭৫ নং দাগে মর্ডান ফিড মিল অবস্থিত। এর মালিক আবদুল মজিদ। কারখানার দখলীয় জমি ৬৪ শতাংশ। যা বনের নামে গেজেটভুক্ত।

কারখানাটিতে দৈনিক অন্তত ২০-২৫ টন মুরগি ও গরুর খাদ্য উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে মুরগির খাদ্যপণ্য দুটি। গ্রোয়ার ও স্টার্টার। আর গাভি ও ষাঁড়ের খাদ্যপণ্য চারটি।

কারখানাটির কোন অনুমোদন নেই। এটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চলছে। এখানে হাজী ফিড, প্রোটিন প্লাস ও এগ্রো সোল্ড নামে পণ্য বস্তায় ভরে বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে।

এ ছাড়া কারখানায় মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ল্যাবও নেই। দোতলায় একটি রুমে কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও কেমিস্ট নেই। ফলে কোন পণ্যেরই মান নির্ণয় হচ্ছে না।

কারখানায় ঢোকার সময় নিরাপত্তা প্রহরী মালিক ভেতরে নেই বলে জানান। কিছুক্ষণ পর বিট কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন স্টাফ নিয়ে ভেতরে ঢুকেন। চলে যান দক্ষিণ অংশে। শুরু হয় ভাঙচুর।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, খালি জমিটুকু কারখানার বাউন্ডারির ভেতরে। নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছিল। এ সময় দুই শ্রমিককে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মালিক সামনে আসেন।

জানতে চাইলে বিট কর্মকর্তা বলেন, ওই জমি বনের নামে গেজেটভুক্ত। মালিকের ডিমারগেশনও নেই।

এ ব্যাপারে মালিক আবদুল মজিদ আলোকিত নিউজকে বলেন, এখানে বনের জমি নেই। আমার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে।

কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি ফাইল বের করেন। তাতে দেখা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরে গত ২৬ জানুয়ারি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গত ২৯ জানুয়ারি আবেদন করেছেন। অনুমোদন এখনো হয়নি।

অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন কার্যক্রম চালানো যায় কি না, প্রশ্নের জবাবে মালিক বলেন, সব হয়ে যাবে। আপনাদের সাথে পরে যোগাযোগ করব।

আরও খবর