গাজীপুরে অভিযোগ করলেও থামছে না পুকুর দস্যুতা
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে কয়েকটি সরকারি পুকুর দখল ও ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
প্রশাসন পুকুর সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রভাবশালীরা ধীরে ধীরে গ্রাস করছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মহানগরীর পূর্ব ভূরুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে সরকারি পুকুর। আরএস ৯৮২ নং দাগে অবস্থিত পুকুরটির আয়তন ৬৪ শতাংশ। স্থানীয় কয়েকজন তা গ্রাসের চেষ্টা করছেন।
এরই অংশ হিসেবে মাটি ফেলে পুকুরের গভীরতা কমানো হয়েছে। সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন পুকুরের ওপর নির্মাণ করেছেন পাম্প হাউজ।
চলতি অর্থবছরে পুকুরটিকে বিদ্যালয়ের মাঠ দেখিয়ে উন্নয়ন কাজের জন্য সিটি করপোরেশন থেকে আট লাখ টাকা বরাদ্দও নেওয়া হয়।
পরে রাজবাড়ি উত্তর পাড়ার আইনজীবী হাসান রাজীব লিখিত অভিযোগ করলে পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক তদন্ত করে প্রতিবেদন দেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর গত ১৯ এপ্রিল দাখিল করা প্রতিবেদনে পুকুরটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কিন্তু অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই চক্রটির দৌরাত্ম্যও থামছে না।
এদিকে নগর ভবন এলাকায় ভরাট করে ফেলা পুকুর উদ্ধারে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর অফিসে আবেদন করেন আবদুর রহিম।
ওই আবেদনও চাপা পড়ে আছে। প্রশাসন তৎপর না হওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিযোগকারী।
তবে বর্তমান জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর গত ১০ অক্টোবর হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের আলোকে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশাবাদী তিনি।
স্থানীয় ইকবাল হোসেন আলোকিত নিউজকে বলেন, পুকুরগুলো উদ্ধার ও সংরক্ষণ করা না হলে একদিকে সরকারি সম্পদ বেহাত হবে। অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে নানা সমস্যা দেখা দেবে। এলাকায় অগ্নিকাণ্ড হলে পানির জোগান দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়বে।