গাজীপুরে ম্যাকডোনাল্ডের দাপটে এক বিঘা বনভূমি বেহাত!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকায় সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে তিনটি কারখানার গাড়ি চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে গত ৬ নভেম্বর আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলাম বনভূমি রক্ষার বদলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাঠে নামেন।
তিনি ওই দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানার কর্মচারী নিয়ে রাস্তা থেকে ইট-সিমেন্টের বেশ কিছু খোয়া ও বড় বড় খন্ড বনের ভেতরে ফেলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পশ্চিমে নান্দুয়াইন এলাকায় বনের বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। গজারি বনের পর রাস্তাটি আকাশমনি বাগানের বুকও ভেদ করেছে। সম্প্রতি তা আধা পাকা করা হয়।
আধা কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পায়ে হাঁটার এই রাস্তা মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচলের জন্য প্রথম সম্প্রসারণ করে ম্যাকডোনাল্ড কীটনাশক কারখানা। পরে তাদের সাথে যুক্ত হয় পশ্চিম পাশের চায়না ব্যাটারি ও এশিয়ান পেইন্টসের কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
ম্যাকডোনাল্ডের একমাত্র দক্ষিণ দিকে কিছু বসতি। তারা দক্ষিণ-পূর্ব পাশের হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশ দিয়ে ও পশ্চিম দিক দিয়ে চলাফেরা করেন। বনের ভেতরের রাস্তা দিয়ে তিনটি কারখানার গাড়ি দিন-রাত চলাচল করছে।
এ ছাড়া ম্যাকডোনাল্ড বনভূমি দখল করে কারখানায় প্রবেশের রাস্তা করেছে। পাশের আকাশমনি বাগানের অংশীদারও মালিক সরোয়ার কামাল। ১০ ফুট প্রস্থের ওই রাস্তার কারণে অনেক গাছপালা ধ্বংস ও প্রায় এক বিঘা বনভূমি বেহাত হয়েছে।
এদিকে আলোকিত নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় ম্যাকডোনাল্ডের ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন ও বিট কর্মকর্তা সম্পাদকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তারা মোবাইলে মামলা-হামলার হুমকি দেন।
এরপর ম্যানেজার গাজীপুরের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার অনলাইনে কথিত প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই পত্রিকা নামে সাপ্তাহিক হলেও বছরে দু-একবার ছাপা হয়। আর পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক একটি নামসর্বস্ব সংগঠনের পকেট কমিটির সভাপতি। তার অপসাংবাদিকতায় সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।