গাজীপুরে অবৈধ মর্ডান ফিড মিলে উৎপাদন চলছেই
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে বনের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ মর্ডান ফিড মিলে উৎপাদন চলছেই।
জেলা সদরের বাঘের বাজারের পূর্ব দিকে শিরিরচালা এলাকায় কারখানাটি অবস্থিত।
এর আগে ঘটনাটি নিয়ে গত ৮ অক্টোবর আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে তৎপর হয় প্রশাসন। বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিএফ জাহিদুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এতে কারখানাটির ডিমারকেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকার বিষয়টি ওঠে আসে।
এরপর কিছুদিন উৎপাদন গোপনে চললেও এখন তা দিন-রাত দেদারসে চলছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মাহনা ভবানীপুর মৌজার ৬৭৫ নং দাগে মর্ডান ফিড মিল অবস্থিত। এর মালিক আবদুল মজিদ। কারখানার দখলীয় জমি ৬৪ শতাংশ। যা বনের নামে গেজেটভুক্ত।
কারখানাটিতে দৈনিক অন্তত ২০-২৫ টন মুরগি ও গরুর খাদ্য উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে মুরগির খাদ্যপণ্য দুটি। আর গাভি ও ষাঁড়ের চারটি।
কারখানাটির কোন অনুমোদন নেই। এটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চলছে। এখানে হাজী ফিড, প্রোটিন প্লাস ও এগ্রো সোল্ড নামে পণ্য বস্তায় ভরে বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া কারখানায় মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ল্যাবও নেই। দোতলায় একটি রুমে কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও কেমিস্ট নেই। ফলে কোন পণ্যেরই মান নির্ণয় হচ্ছে না।
জানতে চাইলে মালিক আবদুল মজিদ আলোকিত নিউজকে বলেন, উৎপাদন কিছু হচ্ছে। পরিবেশের ছাড়পত্র পেয়েছি।
ডিমারকেশন ছাড়া পরিবেশের ছাড়পত্র পেলেন কীভাবে-প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিমারকেশনের জন্য আবেদন করেছি। ছাড়পত্র পেয়ে যাব।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমোদন পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মজিদ বলেন, এটা পেয়েছি। পরে তা দেখতে চাইলে তিনি কয়েক দিন সময় নিয়েও দেখাতে পারেননি।
ছবি : মেহেদী হাসান সবুজ