কাপাসিয়ায় ইয়াবার ছড়াছড়ি : ব্যবসায়ী নেতা ডিলার!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছে।
বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবার ব্যবসা এখন রমরমা। কমেছে হেরোইন ও গাঁজার প্রভাব।
ফলে ছাত্র ও যুব সমাজ বিপথগামী হওয়ার পাশাপাশি চুরি-ছিনতাইসহ ঘটছে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা। সন্ধ্যার পর বসে নেশার আসর। পুলিশ চেষ্টা করলেও কতিপয় কর্মকর্তার কারণে ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না।
কাপাসিয়া সদর ও এর আশপাশের এলাকায় ইয়াবার ডিলার বাজার কমিটির এক নেতা। তার কাহিনি এখন মুখে মুখে। তাকে গত বছরের ৭ অক্টোবর আটক করেছিল ডিবি।
বানারহাওলা এলাকার নজরুল ও রাউৎকোনা এলাকার রাসেলের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। কয়েক দিন আগে নজরুলকে থানার এসআই দুলাল আটক করেও ছেড়ে দেন।
কান্দানিয়া এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করতেন শামসুল। পুলিশ তাকে একাধিকবার আটক করেছিল। তিনি বিদেশ চলে যাওয়ার পর হাল ধরেছেন তার ভাই ইমরান।
পাবুর এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী মাসুদ, লিমন, সোলায়মান, লোকমান, শামীম, সোহেল ও গাঁজা ব্যবসায়ী কালাম। আরও আছেন চিনাশুখানিয়ার রুবেল ও টমটম চালক নয়ন। তাদের মধ্যে লোকমান টেকনাফ থেকে ইয়াবা আনতে গিয়ে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের কামড়া এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী মাজহারুল ও রাওনাট এলাকার সুশান। এর মধ্যে মাজহারুল একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন।
তরগাঁও এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেল, রানা, রিপন, ঋষিপাড়ার জুয়েল, ঋষিপাড়া মোড়ের বিপ্লব, দক্ষিণপাড়ার মোবারক, মোশারফ, সোহেল, রাকিব, বাবু ও পশ্চিমপাড়ার জুয়েল।
উত্তর খামের এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী জাহিদুল ও দক্ষিণ খামের এলাকার রাজীব। এর মধ্যে রাজীব গাজীপুর সদরে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে এখন জামিনে আছেন।
ত্রিমোহনী এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী বেলায়েত ও ফয়সাল। বেলায়েতের দোকান বাজারে। কাজীর টেকের সুমন তার সহযোগী।
চর সনমানিয়া এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী গোলাপ। গত ৩১ অক্টোবর মাদক ও জুয়াবিরোধী প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী।
বারিষাব ইউনিয়নের ভিকারটেক এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী রতন ফকির। এরই মধ্যে কয়েকজন লোক তাকে চেংনা এলাকায় আটক করে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মনিরুজ্জামান খান আলোকিত নিউজকে জানান, মাদক ধরা হচ্ছে। প্রতি মাসে মোট মামলার প্রায় অর্ধেক মাদকের।