মুক্তারুজ্জামান মুক্তির কবিতা ‘নারী’
নারী
-মুক্তারুজ্জামান খাঁন মুক্তি
প্রথম মানব
বিধাতা তার সৃষ্টির প্রেমে
সৃষ্টি করে রাখলেন তাকে স্বর্গের মাঝে।
সেখানে তাকে দিলেন সুখের বৃষ্টি
যেখানে শুধুই অনাবিল সুখ বিরাজ করে
স্বর্গসুখ হতে মানব কী এক শূন্যতায় ভোগে
শাশ্বত সুখের মাঝে, কোন এক সুখ খুঁজে
বিধাতা শূন্যতা বুঝে, সৃষ্টি করলেন এক মানবী
সেই হতে তুমি নারী।
সেই দিন স্বর্গ পূর্ণতা পেয়েছিল
প্রথম মানব ও মানবী দিয়ে।
তুমি নারী
বিধাতার দেওয়া আদেশ ভুলে করেছিলে ভুল
সেই ভুলের কারণে
স্বর্গ হতে বের করে দিয়েছিল ধরণিতে
এক প্রান্তে মানব, অপর প্রান্তে মানবী।
পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত ঘুরে
কাঁদতে থাকে জল ও স্থলে
কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল গেল শুকিয়ে
বিধাতার দয়ায় পাইলে ক্ষমা জমিনে।
অবশেষে মিলন হল দুজনে, পূর্ণতা পেল ধরণি
দুজন দুজনার হাত ধরে বাঁধলে ঘর
সেই হতে অর্ধেক গড়ল পুরুষ, অর্ধেক নারী।
তুমি নারী
তোমাকে দিয়ে পরিপূর্ণ হল ধরণি
গর্ভে তোমার সন্তান এল, জন্ম হল শিশু
তুমি তাকে বড় করলে, হল সবল।
তুমি হলে সেই সন্তানের মা
ছেলে বড় হয়ে যখন করল বিয়ে
অন্য এক নারী তোমার সন্তানের প্রিয়তমা।
তুমি নারী
তুমি ছাড়া এই ধরণি ধু ধু বালুচর
তুমি প্রেরণা, তুমি সাহস
তুমি অর্ধাঙ্গীনী, তুমি করছ সংসার।
তুমি করেছ বড় সন্তান
তুমি তো সেই শিশুটির মা
তুমি নারী, তুমি ঘরে
তুমি সিংহাসনে, তুমি যুদ্ধে।
তুমি দিয়েছ পাড়ি দেশ হতে দেশান্তরে
করেছ জয় হিমালয়
পাড়ি দিয়েছ ভিন গ্রহে।
তুমি নারী
পৃথিবীর অর্ধেক গড়েছ তুমি, অর্ধেক গড়েছে পুরুষ
বন্ধনে বেঁধে
আজি গড়েছে পৃথিবীতে সমাজ ও জাতি।
তুমি নারী
তোমার সৌন্দর্য ধরণি করেছে আলো
তুমি না থাকলে ধরণি অন্ধকারে কালো।