কাপাসিয়ায় ‘জাল টাকার বাক্স’ নিয়ে রহস্য

পর্ব-১

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জাল টাকার বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের মৈশন উত্তরপাড়া এলাকার সোলায়মান হোসেনের বাড়ি থেকে গত ৭ মে বাক্সটি উদ্ধার হয়।

এতে পাওয়া যায় ১০২টি এক হাজার টাকার জাল নোট ও বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির কার্টিজ পেপার।

ঘটনাস্থল থেকে সোলায়মানের দুই ছেলে সাখাওয়াত হোসেন আলমগীর ও সোহানুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আলমগীর নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য ও সোহান চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলায় জেল খাটা আসামি।

আলমগীরের ছোট ও সোহানের বড় ভাই সোহরাব জাকির কৃষি ব্যাংকের আমরাইদ শাখার ম্যানেজার।

তাদের সাথে গ্রেফতার হয়েছেন আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর নাগরিক আলপন্স কেডি ও ফাহিসাতু সুলতানা।

সেদিনকার ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে বৃহস্পতিবার দিনভর অনুসন্ধান চালায় আলোকিত নিউজ।

আলমগীর ঘটনাস্থলে কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে বলেছেন, বিদেশিরা জাল টাকা নিয়ে তাদের জমি কিনতে এসেছেন। তাই আটকে ঘরে বেঁধে রাখা হয়েছে।

আলমগীরের মা মোমেলা খাতুন (৬৫) আলোকিত নিউজকে বলেন, বিদেশিরা তার ছেলেদের সাথে পোলট্রির ব্যবসা করতে এসেছিলেন। আগেও দু-এক দিন এসেছেন।

টাকার বাক্স ঘরে আসল কিভাবে-প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি পশ্চিম ঘরে ছিলাম। বিদেশিরা আসার পর বাইরে বের হই।

টাকার বাক্স বাড়ির পাশে রাখা বিদেশিদের প্রাইভেটকার থেকে দক্ষিণ ঘরে আনা হয়েছে কি না, তা জানেন না এই বৃদ্ধা।

জানতে চাইলে আলমগীরের বৃদ্ধ বাবা বলেন, বিদেশিরা স্ট্যাম্প নিয়ে তার কাছ থেকে পাঁচ গণ্ডা জমি কিনতে এসেছিলেন। সেখানে অফিস করার কথা ছিল।

তবে আলমগীর পরিবারের এসব কথা মানতে নারাজ এলাকাবাসী। তাদের সন্দেহ ভিন্ন দিকে।

বিকেলে চকবড়হর নতুন বাজারে বিভিন্ন পেশার মানুষের অভিমত নেওয়া হয়। জড়ো হন অন্তত ২০-৩০ জন।

তারা বলেন, কোন বিদেশি চাইলেই জমি কিনতে পারে না। আগে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। এ রকম হলে কেউ না কেউ জানার কথা।

তারা আরও বলেন, কেউ জাল টাকার বাক্স নিয়ে কী জমি কিনতে আসে? জমি কিনে কী সাথে নিয়ে যাওয়া যায়? আজ জাল টাকা দিলে কাল তো এসে ধরা পড়বে। জাল টাকার ব্যবসার কথা ঘোরাতে এসব সাজানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান মিয়া আলোকিত নিউজকে বলেন, টাকার বাক্স বিদেশিরা নিয়ে গিয়েছিলেন। তদন্ত দুই দিকেই চলছে।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমাণ্ড চাওয়া হয়েছে। সময় লাগবে।

আরও খবর