গাজীপুরে বন লুটে রেঞ্জার হাসেম মুক্ত বিহঙ্গ!

আলোকিত প্রতিবেদক : বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গাজীপুরে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে।

কতিপয় কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতায় বনভূমি দখল ও উজাড় রোধ হচ্ছে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুরের জাতীয় উদ্যান ও ভাওয়াল রেঞ্জে নানা দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। বাণিজ্য ধরে রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি নীতিমালাও লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে গত ১ আগস্ট আলোকিত নিউজ ডটকমে ‘বন্যপ্রাণী বিভাগের গাজীপুরে বদলি বাণিজ্য রমরমা’ শিরোনামে তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জহির উদ্দিন আকন তড়িঘড়ি করে অকালীন বদলি হওয়া প্রায় ১০ কর্মচারীর মধ্যে চারজনকে আগের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনেন।

তারা হলেন ভবানীপুর থেকে বিকেবাড়ি বিটে শেখর চন্দ্র দাস এবং পার্ক থেকে ভবানীপুর বিটে আমিনুর রহমান, সিদ্দিক হোসেন ও কামরুজ্জামান মোল্লা।

কিন্তু দুটি রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা বিতর্কিত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বদলি নীতিমালা-২০০৪ অনুযায়ী, রেঞ্জার, ডেপুটি রেঞ্জার, ফরেস্টার, বনপ্রহরী ও বোটম্যানরা এক বিভাগে সর্বাধিক তিন বছর এবং এক সার্কেলে সর্বাধিক পাঁচ বছর পর্যন্ত থাকতে পারেন।

অথচ আবুল হাসেম এক বিভাগে চার বছর এবং এক সার্কেলে আছেন ছয় বছর ধরে। তিনি উত্তরায় ফ্ল্যাট ও শেরপুরে ফাউন্ডেশনের বাড়িসহ নামে-বেনামে গড়ছেন সম্পদ।

এ ছাড়া পার্ক বিটের ফরেস্টার আবুল হাসেম চৌধুরীও আছেন বহাল তবিয়তে। তাকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে কম গুরুত্বপূর্ণ বনখরিয়া বিট থেকে তিন মাসের ব্যবধানে পার্কে বদলি করা হয়।

ভবানীপুর বিটে থাকাকালীন সময়ে তার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আলোকিত নিউজ। পরে তদন্তে সত্যতা পেয়ে বিভাগীয় মামলা করে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিএফও ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই চারজনকে ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু দুই হাসেমকে রক্ষায় কৌশলে তৎপরতা চলছে।

আরও খবর