কাপাসিয়া কলেজে ‘তদন্ত খেলায়’ লুটপাট অব্যাহত!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি শক্ত বাসা বেঁধেছে।
বহুল আলোচিত অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ কৌশলে প্রশাসনের চোখে ধুলা দিয়ে বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অধ্যক্ষ ছানাউল্লাহর নানা অনিয়ম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি হাইকোর্টে রিট করে বরখাস্তের প্রক্রিয়া আটকে এখন বেপরোয়া।
গত ১২ জানুয়ারি আলোকিত নিউজ ডটকমে অযোগ্য প্রার্থী দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সাজিয়ে অধ্যক্ষ পদ বাগিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তখন জেলা প্রশাসক ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এরপর গত গভর্নিং বডির সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) প্রধান করে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
কিন্তু কমিটি গত সাড়ে তিন মাসে তদন্তই শুরু করেনি। কবে নাগাদ হবে, তা-ও এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে জেলা প্রশাসক ঢাকার একটি অডিট ফার্মের মাধ্যমে কলেজের গত পাঁচ বছরের আয়-ব্যয়ের অডিট করালেও সেটি এখনো প্রকাশ হয়নি।
অধ্যক্ষ বলে বেড়াচ্ছেন, অডিট রিপোর্ট তার পক্ষে আছে। সংবাদিকদের লেখায় কিছুই হবে না।
শিক্ষক আল আমিন বহাল : গত ২০১৫ সালের ২৭ জুন ব্যবস্থাপনা ও সমাজকর্ম বিষয়ের অনার্স খোলার সময় প্রভাষক আল আমিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পেয়ে তিনি যোগদান করেননি।
শিক্ষকদের হাজিরা খাতা ও এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো তালিকায়ও তার নাম নেই।
অথচ জিবি সভার সিদ্ধান্তে অধ্যক্ষ উল্লেখ করেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দীর্ঘ ছুটি শেষে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আল আমিনের যোগদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি বিধি অনুযায়ী, শিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম দুই বছর কাজ না করলে কোন শিক্ষক নৈমিত্তিক ছুটি ব্যতীত দীর্ঘ ছুটির জন্য আবেদনই করতে পারবেন না।
ইনকোর্স বাণিজ্য অব্যাহত : অনার্স ও ডিগ্রির ইনকোর্স পরীক্ষার ফি ৪০০ টাকা। আগে প্রতি বিষয়ে নেওয়া হত ৩০০ টাকা। অনেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও পাস নম্বর দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ফি আদায়ের সময় সবাইকে রসিদ দেওয়া হয় না। কিছু ব্যাংকে দেখিয়ে বাকিগুলো নেওয়া হয় হাতে হাতে। অধ্যক্ষকে ভাগ দিয়ে টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর আলোকিত নিউজকে বলেন, অডিট রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। প্রশাসনিক তদন্ত শেষ হলে মিলিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।