গাজীপুরে কোর জোনে ডিপো : দেদারসে মরছে গাছ
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের কোর জোনে নিটল মটরসের ডিপো গড়ে উঠেছে।
এতে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাবে ইতিমধ্যে সংরক্ষিত গজারি বনের দেড় শতাধিক গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী, সরকার ঘোষিত অভয়ারণ্য এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত কোর জোন। এর মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনা নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সন্নিকটে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিটল মটরসের ডিপো। এটি আগে কোনাবাড়িতে ছিল। ইতিপূর্বে এখানে স্থানান্তর করা হয়।
বাস, ট্রাক, পিকআপ ও হিউম্যান হলার ডেলিভারির এই ডিপোর আয়তন এক একর ৪৩ শতাংশ। এর চারপাশে বনভূমি। কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই।
বালু ফেলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় বনে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দেদারসে মরছে গাছ। কেটে নেওয়া হয়েছে অন্তত ৩০টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থাপনা নির্মাণের আগে বন বিভাগের সাথে ডিমারকেশন করা হয়নি। রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জহির উদ্দিন আকনসহ অন্যরাও কোন বাধা দেননি।
বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলাম আলোকিত নিউজকে বলেন, নিটল মটরস নতুন করে ডিমারকেশন করেনি। আগের কিছু কাগজপত্র দিয়েছে। দেখতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিটল মটরস শুরুতেই বনভূমি দখল করেছে। ১০/০৭ নম্বর উচ্ছেদ মামলার প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে করা জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ তালিকায়ও তাদের নাম রয়েছে।
এ ছাড়া জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নিটল মটরসের আপত্তির প্রেক্ষিতে পুনরায় সরেজমিনে তদন্ত ও পরিমাপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে।
জানতে চাইলে ডিপোর ইনচার্জ হাসিবুল হক তালুকদার আলোকিত নিউজকে বলেন, বনের কিছু গাছ মারা গেছে। কিন্তু ডিপোর কারণে মারা যায়নি। আমাদের চেয়ারম্যান কোন ক্ষতির পক্ষে নন।