কাপাসিয়ার ছোঁয়া এগ্রো : বাড়ছে দূষণ, কমছে ফলন!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ছোঁয়া এগ্রোর নানামুখী দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার দস্যুনারায়ণপুর এলাকায় পোলট্রি, মৎস্য ও গবাদিপশুর খাদ্য উৎপাদনকারী কারখানাটি অবস্থিত।
সরেজমিনে জানা যায়, ছোঁয়া এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক স্থানীয় টিপু সুলতান। তিনি গত ২০০৭ সালে কারখানাটি গড়ে তুলেন। ২০০৯ সালে পরিসর বড় হয়।
কারখানার পশ্চিম পাশে প্রায় ১০০ বিঘা কৃষি জমি। ব্রয়লারের গরম পানি ধীরে ধীরে গিয়ে জমিতে মিশছে।
এতে ধান, কলা ও আখসহ ফসলের আশানুরূপ উৎপাদন হচ্ছে না। ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
কারখানার দক্ষিণ পাশে তরল বর্জ্যের নালা। রাস্তা সংলগ্ন আবদ্ধ এই স্থান থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
এ ছাড়া কারখানা থেকে নির্গত ছাইয়ে দূষণ ঘটছে। শ্বাসকষ্টসহ রোগ-ব্যাধির হুমকিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।
কারখানার উত্তর পাশে এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছেন ৬৫ বছর বয়সী কৃষক আবু ইউসুফ।
তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, কারখানার ছাই পড়ে ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। ফলন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মুসল্লি রুহুল আমিন সরকার বলেন, কারখানার বিকট শব্দে নামাজ ও ঘুমে সমস্যা হয়। দুই শতাধিক পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
অপর একজন বলেন, কারখানার ছাইয়ে ঘরের টিন ছিদ্র ও মরীচিকা পড়ছে। এক-দেড় বছরেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, গরম পানির কারণে কারখানার পূর্ব পাশে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ফসল হচ্ছে না। টিপু কয়েক বিঘা জমি কিনে নিয়েছেন।
তারা আরও জানান, কারখানার মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল করায় ভুবনেরচালা রোড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইতিপূর্বে মহিষঘাটা কালভার্ট ভেঙে গেছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। ইউপি চেয়ারম্যানও নীরব।
এ ব্যাপারে কারখানায় গেলে ম্যানেজার তাজুল ইসলাম ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
টঙ্গীর প্রধান কার্যালয়ে মোবাইলে পরপর দুদিন যোগাযোগ করে মালিককে চাইলে রিসিপশন থেকে ব্যস্ত জানানো হয়।