শ্রীপুরে বনভূমি দখল করে আলিশান ও পাকা বাড়ি!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে মূল্যবান বনভূমি দখল করে আলিশান ও পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে।
সদর বিট এলাকায় প্রকাশ্যে এ দখলযজ্ঞ চললেও বিট কর্মকর্তা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, গত কয়েক মাসে বনভূমি দখল করে বেশ কিছু বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা।
পৌর এলাকা ভাংনাহাটিতে গ্রীন ভিউ রিসোর্ট অবস্থিত। এর উত্তর পাশে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করছেন আল আমিন।
সেখানে জমির পরিমাণ ১২ শতাংশ। এসএ ১৭৬৬ নং দাগের ওই জমি বন বিভাগের নামে গেজেটভুক্ত।
আল আমিন স্থানীয় আনোয়ারা গংয়ের কাছ থেকে জমিটি কিনেন। তাদের কারও ডিমারকেশন নেই।
তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু করলে বিট অফিস বাধা দেয়। পরে এপ্রিল থেকে আবারও কাজ শুরু হয়।
বৈরাগীরচালার ছাপিলাপাড়ায় গেজেটভুক্ত এসএ ১৮৭১ নং দাগে চলতি বছর ১২ রুমের নতুন বাড়ি নির্মাণ করেছেন আবদুল খালেক।
তার ছেলে মিরন জানান, রুমগুলো ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। বিট অফিস কোন বাধা দেয়নি।
খালেকের কাছ থেকে জমি কিনে পশ্চিম পাশে সাত রুমের বাড়ি করেছেন আফসার উদ্দিন। ওই জমিও গেজেটভুক্ত।
হ্যামস মোড়ের পূর্ব পাশে গেজেটভুক্ত বনভূমিতে ফাউন্ডেশন দিয়ে চার তলা বাড়ির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন আফাজ উদ্দিন।
পাশে তার ভাই হেলাল উদ্দিনও চার তলা আলিশান বাড়ির ছাদ ঢালাই সম্পন্ন করেছেন। এখন চলছে বাকি কাজ।
হ্যামস পোশাক কারখানার উত্তর পাশে গেজেটভুক্ত বনভূমিতে চার রুমের বাড়ি নির্মাণ করছেন আলম হোসেন।
এ ছাড়া গেজেটভুক্ত এসএ ১৮৩৫ নং দাগে ১২ শতাংশ জমি কিনেছেন জহিরুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি ছয় রুমের বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ১৮৭১ ও ১৮৩৫ নং দাগ সরাসরি গেজেটভুক্ত। আর ১৭৬৬ পার্ট দাগ।
জানতে চাইলে বিট কর্মকর্তা সেলিম মিয়া আলোকিত নিউজকে বলেন, গেজেটভুক্ত থাকলেও পাবলিকের নামে খারিজ আছে। গেজেটভুক্ত থাকলেই কী সরকার রাখতে পারছে?
এ ব্যাপারে শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুল হকের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।