শ্রীপুরে গ্রীন ভিউয়ের মুখে বনভূমি তুলে দিচ্ছে বিট অফিস!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরের গ্রীন ভিউ রিসোর্ট আরও বনভূমি দখলের পাঁয়তারা করছে।
এতে শ্রীপুর সদর বিট কর্মকর্তা সেলিম মিয়া কৌশলে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে ২০১৭ সালে রিসোর্টটির দখল থেকে ১১ বিঘা বনভূমি উদ্ধার করা হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, গ্রীন ভিউ রিসোর্ট পৌর এলাকা ভাংনাহাটিতে ২০০৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে। বিনোদন স্পটটির মালিক ফকির মনিরুজ্জামান।
রিসোর্টটির পশ্চিম পাশে সিএস ও এসএ ১৮৩৫ নং দাগের জমি বন বিভাগের নামে গেজেটভুক্ত। সেখানে বনভূমির ওপর দিয়ে রাস্তা ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।
রাস্তাটি দিয়ে কয়েক মাস ধরে ট্রাকযোগে নির্মাণ সামগ্রী এনে বিভিন্ন স্পটের কাজ চলছে। যৌথ ডিমারকেশনের কোন খুঁটি চোখে পড়েনি।
এর উত্তর পাশে সিএস ও এসএ ১৮৭১ নং দাগের গেজেটভুক্ত বনভূমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানেও ডিমারকেশন নেই।
বিট কর্মকর্তা দাবি করেন, রাস্তাটি এখন বন্ধ। তবে সর্বশেষ খবর নিয়ে তার দাবির সত্যতা মেলেনি।
স্থানীয়রা জানান, শাহীনের ভিটা নামক স্থানের উত্তর পাশে আরএস ৭৫৭৫ নং দাগের জমি বন বিভাগের। সেখানে ৭৩ শতাংশ জমি দখলদারের কাছ থেকে কিনে শতাধিক খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে।
বিট কর্মকর্তা বলছেন, যৌথ ডিমারকেশনের প্রক্রিয়া চলছে। বনের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।
বিশাল আয়তন বেষ্টিত রিসোর্টের ভেতরে রয়েছে হরিণের খামার। সেখানকার আরএস ৭৫৯৭ নং দাগের আনুমানিক এক বিঘা জমি বন বিভাগের।
নিজেকে ১০০ ভাগ সৎ দাবি করে বিট কর্মকর্তা বলেন, আমরা খামারের বনভূমি উদ্ধার করে গত ২৬ মে এক হাজার আকাশমনি চারা রোপণ করেছি।
তবে রিসোর্টের ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, বিট অফিস রিসোর্টের ভেতরে আকাশমনি বাগান করেনি। বাইরে করা হয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিট কর্মকর্তা আলোকিত নিউজকে বলেছিলেন, রিসোর্টটির ভেতরে বনের কোন জমি নেই। মাপজোখ করে সব বের করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একজন জানিয়েছেন, রিসোর্টের ভেতরে আরও কয়েক বিঘা বনভূমি রয়েছে। কতিপয় বন কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ থাকায় সব দাগে যৌথ ডিমারকেশন হয়নি।
আরও পড়ুন : শ্রীপুরে গ্রীন ভিউ রিসোর্টের বনভূমি গ্রাস
এদিকে বিট কর্মকর্তা সেলিম মিয়ার দখল বাণিজ্য নিয়ে আলোকিত নিউজ ডটকমে গত ২৮ এপ্রিল ও ১৫ মে দুটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউছুপ তদন্ত করলেও বনভূমি উদ্ধারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।