শ্রীপুরের লোহাগাছে বনভূমি কিনে পোলট্রি খামার!
সাইফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান সবুজ : গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভূমি কিনে পোলট্রি খামার গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে।
শ্রীপুর রেঞ্জের সিংড়াতলী বিট এলাকার লোহাগাছ মৌজায় এ ঘটনা ঘটলেও কর্মকর্তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ভুট্টো ওই এলাকায় জমি কিনে পোলট্রি খামার গড়ে তুলেন। এখন উত্তর পাশে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে নতুন একটি শেডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বড় পরিসরে আরেকটি স্থাপনার নির্মাণ কাজ চলছে।
এর মধ্যে সিএস ও এসএ ৬৬ নং দাগের ৫৩ শতাংশ জমি বন বিভাগের নামে গেজেটভুক্ত। যার বর্তমান বাজারমূল্য অন্তত ৩২ লাখ টাকা।
ভুট্টো আলোকিত নিউজকে জানান, তিনি ওই জমি তিন-চার বছর আগে কিনেছেন। এর আগে জমিটি ছয়-সাতবার বিক্রি হয়েছে।
তার দাবি, ৬৬ নং দাগ গেজেটভুক্ত নয়। প্রিন্টে ভুল হয়েছে। তাই যৌথ ডিমারকেশন করতে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বন বিভাগের সার্ভেয়ার মাপজোখ করেছেন। সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন গেজেটভুক্ত নয় মর্মে এসিল্যান্ড বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
খামারটির আশপাশে বনভূমি ও বসতবাড়ি বিধায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কি না, জানতে চাইলে ভুট্টো বলেন, পরিবেশের ছাড়পত্র লাগে না। পৌরসভার অনাপত্তিপত্র আছে।
এদিকে রেঞ্জ কর্মকর্তার অনাপত্তিমূলে পৌর ভূমি অফিস ভুট্টোর নামজারি ও জমাভাগের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছে। যার নথি নং ২২১৫/১৭-১৮।
ওয়াকিবহাল একজন বলেন, জমিটির মালিকানা বহালে নানা কৌশল খাটানো হচ্ছে। এতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে প্রচার রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম আলোকিত নিউজকে বলেন, স্থাপনা গেজেটভুক্ত দাগে পড়েনি। ডিএফওর অনুমোদনক্রমে মেপে নিশ্চিত হয়েছি।
ভুট্টোর দলিল ও খারিজের কপিতে ৬৬ নং দাগ উল্লেখ আছে-জানালে তিনি বলেন, ৬৬ নং দাগে আমাদেরও আছে মনে হয়। পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম পাশের কোণাটা পড়েছে।
যৌথ ডিমারকেশন আছে কি না, প্রশ্নের উত্তরে বিট কর্মকর্তা বলেন, এটা তো অনেক আগের। যৌথ হয়েছে কি না, আমি জানি না।