শ্রীপুরে ৩২ লাখ টাকার বনভূমি দখল : ডিএফও নীরব!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের বনভূমি কিনে পোলট্রি খামার গড়ে তোলা হচ্ছে।
কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে শ্রীপুর রেঞ্জের সিংড়াতলী বিট এলাকার লোহাগাছ মৌজায় এ দখলযজ্ঞ চলছে।
বিষয়টির ওপর গত ১৬ জুলাই আলোকিত নিউজ ডটকমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
‘ভাল’ হিসেবে পরিচিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউছুপও নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ভুট্টো ওই এলাকায় জমি কিনে পোলট্রি খামার গড়ে তুলেন। এখন উত্তর পাশে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে নতুন একটি শেডের কাজ সম্পন্ন করে মুরগি উঠানো হয়েছে। বড় পরিসরে আরেকটি স্থাপনার নির্মাণ কাজ চলছে।
এর মধ্যে সিএস ও এসএ ৬৬ নং দাগের ৫৩ শতাংশ জমি বন বিভাগের নামে গেজেটভুক্ত। আশপাশের জমিও বন বিভাগের।
গেজেটের ৪৪ নং জেএলে দাগটি ১১৫/৬৬ বাটায় উল্লেখ রয়েছে। এখানে ৬৬ মূল দাগ হলেও বিট অফিস ১১৫-কে মূল দাগ বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
ভাওয়াল রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলামসহ একাধিক বন কর্মকর্তা আলোকিত নিউজকে বলেন, বাটা দাগে নিচেরটা মূল দাগ হয়। ৬৬ দাগটি পার্ট নয়, সরাসরি গেজেটভুক্ত।
ভুট্টো আলোকিত নিউজকে জানান, সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন ওই জমি গেজেটভুক্ত নয় মর্মে এসিল্যান্ড বরাবর চিঠি দেন। পরে পৌর ভূমি অফিস তার নামজারি ও জমাভাগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
জানতে চাইলে পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আরিফ উল্লা আলোকিত নিউজকে বলেন, বাটা দাগে নিচেরটা মূল দাগ। বন বিভাগের অর্ডার মোতাবেক খারিজটা হয়েছে মনে হয়।
অর্ডারের কপি আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখতে হবে, একবার দেখেছিলাম তো অনেক আগে। খেয়াল নেই আমার।
সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, গেজেটের ব্যাপারে আপত্তি থাকলে আদালতে মামলা করতে হয়। চূড়ান্ত রায় পক্ষে না আসা পর্যন্ত জমির মালিক বন বিভাগ।
এদিকে ভুট্টো ওই দাগের আরও ৩৪ শতাংশ জমি স্থানীয় শামসুল হকের কাছ থেকে কিনেছেন। তাদের কারও যৌথ ডিমারকেশন নেই।
তবে বিট কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এককভাবে কথিত সীমানা নির্ধারণের এফডি খুঁটি পুঁতে দখলের বৈধতা দিচ্ছেন। এসবে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ।