শ্রীপুরের নওয়াব আলী হাইস্কুলে দুই ‘কোচিংবাজ’ শিক্ষক বেপরোয়া

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

তারা হলেন উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আলহাজ্ব নওয়াব আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফ সরকার ও ক্রীড়া শিক্ষক আতিকুল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষক আতিকুল ইসলামের বাড়ি বিদ্যালয়ের অদূরে টেংরা সোতাপাড়া এলাকায়। প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফ তার বাড়িতেই থাকেন।

আতিকুল ইসলাম বাড়িতে অঘোষিত কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন। তিনি দুই বছর ধরে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন।

তার সাথে যুক্ত রয়েছেন প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফ। ফলে অভিভাবকরাও তাদের দাপটের কাছে অসহায়।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ওই শিক্ষকরা কোচিংয়ে যেতে প্রলুব্ধ করছেন। কিছু ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ার ভয়ে কোচিং করছে।

দুই শিক্ষকের কোচিংয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক। জনপ্রতি ১০০০ ও কারও কারও কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে মাসে প্রায় এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জনকে পড়াতে পারেন। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বা অন্য কোথাও পড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

একজন শিক্ষানুরাগী বলেন, শিক্ষকরা ক্লাসে মনোযোগী হলে নিয়মিত কোচিং বা প্রাইভেটের দরকার নেই। টাকার লোভে নিয়ম-নীতি বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে শিক্ষক আতিকুল ইসলাম আলোকিত নিউজকে বলেন, এগুলো সব মিথ্যা। আমি কলেজের স্টুডেন্ট পড়াইছি, অন্য স্কুলের পড়াইতাম। সেগুলা মানে ভুয়া প্রমাণিত হইছে।

অপর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও প্রতিবারই সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লিয়াকত আলী ফকির আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি তাদেরকে কোচিং না করতে বলেছি। আপনারা নিউজ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, গত মাসে ওই কোচিংয়ের একটি ভিডিও একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপরও কর্তৃপক্ষ তৎপর না হওয়ায় বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর