কাপাসিয়ায় পুলিশের সামনেই বাদী ও তার চাচাকে মারধর!

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মামলার বাদী ও তার চাচাকে পুলিশের সামনেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের চন্ডালহাতা গ্রামে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

এ ঘটনায় আহতের ছেলে আশরাফুল আলম বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ২ (১০) ২০।

আসামিরা হলেন জজ মিয়া ফরাজী, রাসেল মিয়া, তমিজ উদ্দিন ফরাজী, রহিম ফরাজী, মমতাজ ফরাজী, বিল্লাল ফরাজী, রহমান ফরাজী ও বকুল ফরাজী।

তাদের মধ্যে রাসেল মিয়াকে ওই দিনই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বাকি আসামিরা এখনো গ্রেফতার হননি।

এদিকে ওই ঘটনায় আসামি পক্ষের জাকির হোসেন ফরাজী বাদী হয়ে থানায় একটি কাউন্টার মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৫ (১০) ২০।

গত ১১ অক্টোবর তাদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন খান আসামিদের ধরতে এলাকায় যান।

তখন সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইলুদ্দির নেতৃত্বে কয়েকজন লোক পুলিশের সামনেই প্রথম মামলার বাদী আশরাফুল ও তার চাচা লোকমান হেকিমকে মারধর করেন।

ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন, লোকমান হেকিমকে বাড়ির পাশে বিলের পানিতে ফেলে ও আশরাফুলকে দৌড়িয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বানিয়ারটেকের মনু মিয়ার বাড়িতে মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন জাকারিয়া ফরাজী, জাকির ফরাজী ও মাহমুদুল হাসান ওরফে কদম আলী এবং তাদের মামলার আসামি রহমান ফরাজী ও বিল্লাল ফরাজী।

এ ধরনের তাণ্ডব দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। প্রাণনাশের হুমকিতে তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে এসআই সুমন খান আলোকিত নিউজকে বলেন, বাদী আমাকে ফোন দিয়েছিল, স্যার আসামি ধরেছি। আমি তখন তাকে বকা দিয়েছি। পরে বলেছে ছেড়ে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমার সামনে মারধর করেছে, এ রকম কোন ঘটনা হয়নি। আমি বলেছি, আপনারা যদি বেশি মাদবরি করেন, তাহলে মামলা অন্য কাউকে হস্তান্তর করব।

আরও খবর