গাজীপুরের বাংলাবাজারে খাস জমিতে মার্কেট, ডিমারকেশন বাতিল
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে ১০ কোটি টাকার খাস জমিতে মার্কেট নির্মাণের ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
বিষয়টির ওপর গত বছর আলোকিত নিউজ ডটকমে একাধিক তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ নিয়ে চলে ব্যাপক তোলপাড়। পরে টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পেয়ে ডিমারকেশন বাতিল করেছেন।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নগরীর জাঙ্গালিয়াপাড়া এলাকার বাংলাবাজার রোডের উত্তর পাশে ১ নং খতিয়ানভুক্ত আরএস ৬৫৩ নং দাগে মোট জমি ১৪৭ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারের জমি ৭৭ শতাংশ ও স্থানীয় আবদুল আজিজের নামে ৭০ শতাংশ।
আজিজ অনেক আগে থেকেই ৭৭ শতাংশের ভোগদখলীয় মালিক। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক বাড়ি, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ওয়াকফকৃত জমিতে মসজিদ ও দানকৃত জমিতে কমিউনিটি ক্লিনিক।
রোড সংলগ্ন অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ জমিতে বালু ভরাট করে বাবার নামে মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। করোনার সুযোগে তিন তলা ফাউন্ডেশন মার্কেটটির নিচ তলার কাজ শেষ করে দোকান ও দোতলায় ইউসিবি ব্যাংকের শাখা ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
কাজ শুরুর আগে জাহাঙ্গীর আলম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ১৮১/২০১৮ নং সীমানা নির্ধারণ মামলা অনুযায়ী ডিমারকেশন করেন। এতে দখলীয় ৭৭ শতাংশ জমিকে খাস হিসেবে ও খালি ৭০ শতাংশ জমিকে জোত হিসেবে দেখানো হয়।
অর্থাৎ ৭৭ শতাংশ জমি আগে থেকেই তাদের ভোগদখলে। অবশিষ্ট ৭০ শতাংশে মার্কেট নির্মাণের ফলে পুরো সরকারি জমি বেহাত হয়ে যায়।
শিল্প কারখানা অধ্যুষিত ওই এলাকায় বিঘাপ্রতি জমির বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা। সে হিসাবে দখলীয় জমির মূল্য দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ডিমারকেশনে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছিল। জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এদিকে ডিমারকেশন বাতিলের পর জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেছেন।
সালনা ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইসহাক মিয়া আলোকিত নিউজকে জানান, তারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গিয়ে নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম মানেননি।
জেলা প্রশাসনের এসএ শাখা জানায়, আপিলের শুনানি একবার হয়েছে। রায়ের ভিত্তিতে মার্কেট ভেঙে সরকারি জমি উদ্ধারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : গাজীপুরে খাস জমিতে ৩ তলা মার্কেট : জেলা প্রশাসন নীরব