শ্রীপুরে শিক্ষকের ‘ভুয়া সনদ কেলেঙ্কারি’ ধামাচাপার পাঁয়তারা
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে শিক্ষকের ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদের কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।
অভিযুক্ত আবদুল কুদ্দুস হায়দার উপজেলার বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
তিনি কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল কাদির প্রধানের ছেলে।
বিষয়টির ওপর গত ২৮ জানুয়ারি আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুদ্দুস হায়দার ১৯৯৮ সালে বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রজেক্ট সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। পরে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত হন।
সাত মাস চাকরির পর তিনি বলদীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান। বিধি অনুযায়ী, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুদ্দুস হায়দার যোগীরসিট উচ্চ বিদ্যালয় ও টেংরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। কিন্তু তিনি সেসব বিদ্যালয়ে কখনো শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন না।
বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ফকির জানিয়েছেন, কুদ্দুস হায়দার এমপিওভুক্ত হয়ে এক বছরেরও কম ছিলেন। তিনি ২০০২ সালের ৪ আগস্ট চাকরি ছেড়ে চলে যান।
এদিকে কুদ্দুস হায়দার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে ১৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। পরে ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর তদবির করে আবারও বহাল হন।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা আলোকিত নিউজকে বলেন, টাকা আত্মসাতের বিষয়ে সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদের বিষয়েও তদন্ত হবে।
২০ দিন পর জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমীন আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি এখনো চিঠি পাইনি। হয়তো প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ : অভিযুক্ত শিক্ষক কুদ্দুস হায়দার ই-মেইলে আলোকিত নিউজের সম্পাদক বরাবর একটি প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার ও বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রকাশিত সংবাদটি প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। সংবাদটি কীভাবে মিথ্যা, সে সংক্রান্ত কোন ব্যাখ্যা বা যুক্তি প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ নেই।
আরও পড়ুন : শ্রীপুরের বলদীঘাট হাইস্কুলে ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ!