কাপাসিয়ায় গলার ভেতরে ব্যান্ডেজ রেখেই শিশুর অপারেশন!
নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়ার আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালে গলার ভেতরে ব্যান্ডেজ রেখেই শিশুর টনসিলের অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী রিয়াদ (৫) উপজেলার টোক ইউনিয়নের বীরউজলী গ্রামের আরাফাত হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গত ৭ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আরাফাত হোসেন আলোকিত নিউজকে জানান, তার ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে গলার ব্যথায় ভুগছিল। ব্যথা প্রচণ্ড হলে গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে নাক, কান ও গলারোগ বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ শাহজাহান সরকার তার অপারেশন করার পরামর্শ দেন। পরে ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে তিনি অপারেশন করেন।
কয়েক দিন পর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শিশুটির প্রচণ্ড কষ্ট হয় ও ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালেও গুরুত্ব দেয়নি।
এরপর ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি ডা. শাহজাহান সরকারের সাথে দেখা করলে তিনি সব ঠিক হয়ে যাবে বলে কিছু ওষুধ লিখে দেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হয়ে সমস্যা বাড়তে থাকে।
এক পর্যায়ে ২ মার্চ সকালে শিশুটির বমি হয়। এ সময় বমির সাথে ভেতরে আটকে থাকা ব্যান্ডেজের কাপড় বেরিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ডা. শাহজাহান সরকার আলোকিত নিউজকে বলেন, অনেক সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। সে জন্য ব্যান্ডেজ রেখে পরের সপ্তাহে খুলে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক আলোকিত নিউজকে বলেন, এ ধরনের অপারেশনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে দু-এক দিন ব্যান্ডেজ রাখা যায়। কিন্তু যথাসময়ে খুলে না দেওয়া বা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা বিপজ্জনক।
এদিকে আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় একাধিক প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে।
২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছিলেন ইউএনও ইসমত আরা।
পরের মাসে কোন প্রকার শাস্তি ছাড়াই হাসপাতালের পরিচালক জহিরুল ইসলাম সিকদার ওরফে আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলগালা খুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : তদন্ত হলেও কাপাসিয়ার ‘রোগী মারা’ হাসপাতাল অধরা!