গাজীপুরের মর্দপাড়ায় বনের ক্ষতি, নির্মাণাধীন বাড়িঘরের কাজ বন্ধের নির্দেশ
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের মর্দপাড়ায় সংরক্ষিত বনের ক্ষতি করে ও ডিমারকেশন ছাড়াই নির্মাণাধীন বাড়িগুলোর কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বন বিভাগ।
জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাউপাড়া বিটের গজারিয়াপাড়া এলাকার এই মহল্লাটিতে দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মকাণ্ড চলে আসছিল।
বিষয়টির ওপর গত ২১ এপ্রিল আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজল তালুকদারের নির্দেশে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার ঘোষ ২২ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শনিবার তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, কাজ বন্ধ আছে। তাদেরকে ডিমারকেশন করে কাজ করতে বলেছি।
সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গ্রীন কোল্ড স্টোরেজের পূর্ব পাশে গজারি বন ঘেঁষে একটি ফাউন্ডেশন বাড়ির নিচ তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরেকটি ফাউন্ডেশন বাড়ির কাজ ইতিপূর্বে শুরু হয়।
মর্দপাড়া মসজিদের উত্তর পাশে সম্প্রতি তিন তলা ফাউন্ডেশন বাড়ির কাজ শুরু করেন রফিক। তিনি বনের কিছু জায়গাও দখল করেছেন।
শাহিদুল বড় পরিসরে একটি বাড়ি করছেন। বিট কর্মকর্তা আজাদুল কবির থাকাকালীন বারান্দার দেয়াল ভেঙে দেওয়া হলেও তার সময়েই আবার কাজ সম্পন্ন হয়।
টয়েজ ফ্যাক্টরির পাশে অগভীর পুকুর প্লট আকারে কিনে ভরাট কার্যক্রম শুরু করে ইউসুফ গং। ট্রাকযোগে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের জন্য বনের একাধিক গাছ কেটে তৈরি করা হয় রাস্তা।
স্থানীয়রা জানান, বাড়িগুলোতে বন ব্যতীত প্রবেশের কোন রাস্তা নেই। ইট, বালু ও খোয়া এনে বনের ভেতরে রাখা হচ্ছে।
এর ফলে নতুন গাছ জন্মানোর পরিবেশ নষ্ট ও বন ঝুঁকিতে পড়েছে। মালবাহী গাড়ির চোটে গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন, এভাবে নির্মিত স্থাপনাগুলোকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। পুকুর ভরাট বাবদ ৫০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন : গাজীপুরের মর্দপাড়ায় বনের গাছ কেটে রাস্তা, ডিমারকেশন ছাড়াই বাড়িঘর!