গাজীপুরে খাস জমিতে উঠছে ৩ তলা, ভূমি অফিস নীরব!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে খাস জমি কিনে তিন তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত গতিতে চলছে এ দখলযজ্ঞ।
ঘটনাটি জানানোর পরও কয়েক মাস ধরে রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সদর উপজেলার বোকরান মনিপুর মৌজার কাতলামারা এলাকার ১ নং খতিয়ানভুক্ত সিএস ১১৫০ নং দাগের জমি ‘ক’ তফসিলভুক্ত। দাগটিতে মোট জমি ৮১ শতাংশ।
এর মধ্যে ক্রয়সূত্রে মামলা করে জনৈক তপন কুমার দেবনাথ সাড়ে ৩৪ শতাংশের রায় পেয়েছেন। বাউন্ডারি ওয়ালবেষ্টিত ওই জমিতে তার গোডাউন রয়েছে।
পুকুরের পশ্চিম পাশে অবশিষ্ট সাড়ে ৪৫ শতাংশ জমি সরকারের। সেখানকার রাস্তা সংলগ্ন সাত শতাংশ জমি একাধিকবার বেচাকেনা হয়েছে।
সবশেষে কাপাসিয়ার মোতাহার হোসেনের কাছ থেকে কিনেছেন হোতাপাড়ার টাইলস ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন। এরপর কয়েক মাস ধরে দোকানসহ বাড়িটির নির্মাণ কাজ চলছে।
নিচ তলার কাজ শুরুর খবর পেয়ে গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে বিষয়টি ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীমকে জানানো হয়। পরে তিনি রেকর্ডপত্র ঘেঁটে সরকারি মালিকানা নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি জমি কিনে বাড়ি করছি। আপনি নিউজ না করে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারেন, বলেন।
দখল সূত্রে জমি বিক্রেতা রমনী বর্মন আলোকিত নিউজকে বলেন, বাকি জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তবে তাদের পক্ষে এখনো রায় হয়নি।
মঙ্গলবার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, ওইটা উচ্ছেদের জন্য এসিল্যান্ড অফিসে প্রতিবেদন দেওয়া আছে। আমি লোক পাঠাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানান, ভূমি অফিসের কোন তৎপরতা অদ্যাবধি দেখা যায়নি। জামাল উদ্দিন দাপটের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা আরও জানান, ওই এলাকায় বিঘাপ্রতি জমির বর্তমান বাজারমূল্য দেড় কোটি টাকা। সে হিসাবে দখলীয় জমির মূল্য দাঁড়ায় অন্তত ৩০ লাখ টাকা।