গাজীপুরে কসাই বিদ্যুতের দখল থেকে দেড় বিঘা বনভূমি উদ্ধার করে বনায়ন
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপিলাতলীতে কসাই বিদ্যুতের দখল থেকে প্রায় দেড় বিঘা বনভূমি উদ্ধার করে বনায়ন করা হয়েছে।
ঢাকা বন বিভাগের রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জের রাজেন্দ্রপুর পূর্ব বিটের ওই এলাকা ইজ্জতপুর বাজারের পাশে অবস্থিত।
এর আগে গত ২১ আগস্ট বিদ্যুতের দখলদারিত্ব নিয়ে আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে চলে ব্যাপক তোলপাড়।
পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা মূল্যের বনভূমিতে আকাশমনি গাছের চারা রোপণ করে বিট অফিস।
সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যমতে, অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন বিদ্যুতের পৈতৃক বাড়ি বগুড়ায়। তিনি বিন্দুবাড়ী এলাকায় বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে আছেন। তার শ্যালক বাহারুল ইসলাম ইউরোপ প্রবাসী।
বিদ্যুৎ পেশায় ইজ্জতপুর বাজারের কসাই। তারা ধীরে ধীরে বনভূমি দখলের রাজত্ব কায়েম করছিলেন।
কাপিলাতলী মৌজার এসএ ৩৩ নং দাগের প্রায় দেড় বিঘা গজারি বন আগে প্রভাবশালী নিউটন গং ও বাহারুল গংয়ের দখলে ছিল। গত বছর বড় বড় গাছ কেটে বন উজাড় করা হয়।
খবর পেয়ে বিষয়টির ওপর গত ৩১ অক্টোবর একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে আলোকিত নিউজ। পরে স্পটে থাকা ১৭ পিস গাছ উদ্ধার ও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিট অফিস।
মামলায় নিউটন মিয়া ও তার তিন ভাইকে আসামি করা হলেও বাহারুল পক্ষের বিদ্যুৎকে আসামি করা হয়নি। এরপর নিউটন গং দখল ছেড়ে দিলে পুরো জমি দখলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন বিদ্যুৎ।
এরই অংশ হিসেবে তিনি সেখানে ৪০টি আমড়া চারা রোপণ করেন। এ ছাড়া পাকা রাস্তার সাথে মাসে তিন হাজার টাকায় একটি দোকান ভাড়া দেন।
আলোকিত নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন সকালে বিদ্যুৎ লোকজন নিয়ে দোকান খুলে বাড়িতে নিয়ে যান। আলামত নষ্টের জন্য চায়ের চুলাও ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে রাজেন্দ্রপুর পূর্ব বিট কর্মকর্তা আইয়ুব খান আলোকিত নিউজকে বলেন, বিদ্যুতের দখল থেকে বনভূমি উদ্ধার করে বাগান করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন : গাজীপুরের কাপিলাতলী ও বিন্দুবাড়ীতে বিদ্যুতের বনভূমি দখলের চমক!