কাপাসিয়া পাইলটের ৫ শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য তদন্তের নির্দেশ
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম আলোকিত নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত করে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বিষয়টির ওপর গত ১৫ মার্চ আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ নিয়ে চলে ব্যাপক তোলপাড়। পরে তৎপর হয় প্রশাসন।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন বিজ্ঞানের শিক্ষক আলতামাসুল ইসলাম, ইংরেজির শিক্ষক সেলিমা বেগম, মনির হোসেন, গণিতের শিক্ষক আক্তার হোসেন ও ধর্মের শিক্ষক মো. জাকারিয়া।
সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যমতে, শিক্ষক আলতামাসুল ইসলাম, সেলিমা বেগম ও জাকারিয়া শীতলক্ষ্যা হাসপাতালের পেছনে খোরশেদা বেগমের বাড়ির তিন রুম ভাড়া নিয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াচ্ছেন। কোচিং সেন্টারটি চলছে তিন বছর ধরে।
শিক্ষক মনির হোসেন বরুন রোডের সাবেক রিংকু মাল্টিমিডিয়া স্কুলে কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন। তিনি বড় কোচিংবাজ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
আর শিক্ষক আক্তার হোসেন পাবুর রোডের আকবর আলীর বাড়িতে কোচিং করাচ্ছেন। তার সেন্টারে শিক্ষার্থী শতাধিক।
অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ১০ জনকে পড়াতে পারেন। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বা অন্য কোথাও পড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অভিযোগ রয়েছে, কোচিংয়ে বেপরোয়া ওই শিক্ষকরা ক্লাসে মনোযোগী নন। প্রধান শিক্ষক ফাইজ উদ্দিন ফকির তাদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন : কাপাসিয়া পাইলট হাইস্কুলের ৫ শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য রমরমা