ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও হত্যা মামলার আসামি!
আলোকিত প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটিতে নানা অপরাধে জড়িত অন্তত নয়জন গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন।
তাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা, অপহরণ, হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ :
বাপ্পী : ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ বুলবুল ওরফে বাপ্পী। তিনি ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিনকে লোহার রেঞ্চ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
আনু ও নদী : সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু ও নিশিতা ইকবাল নদী। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা করেন বলে পত্রিকায় লেখালেখি হয়।
রাজিব : সহ-সভাপতি রাজিব আহমেদ। তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে ২০১৩ সালে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
সাকিব : সহ-সভাপতি সাকিব হাসান সুইম। তিনি ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চাঁদা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে গোলাগুলি হয়। এতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র আসাদুজ্জামান ফারুক মারা যান। এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তিনি।
এনায়েত : সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত। তার বিরুদ্ধে শাহবাগে ফুলের দোকানে চাঁদাবাজি ও শিক্ষা ভবনে টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে।
মেহেদী : সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ইয়াবার চালানসহ গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জবানবন্দিতে তার নাম ওঠে আসে।
আশিক : সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল পাঠান। তার বিরুদ্ধে গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রাইভেটকার চাপা দিয়ে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
সৃজন : সাংগঠনিক সম্পাদক সৃজন ঘোষ। তার বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৪ সালে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়।