‘মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরে ১২ হাজার টনের বোঝামুক্ত দেশ’

আলোকিত প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মামলার সাক্ষী ও ডালিম হোটেলে নির্যাতিত ব্যক্তিরা।

তারা বলছেন, এই দন্ড কার্যকরের মধ্য দিয়ে মীর কাসেমের হাতে নিহত শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। পাশাপাশি দেশও কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

রায় কার্যকরের পর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মামলার অন্যতম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. ইলিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, কুখ্যাত রাজাকার মীর কাসেমের ফাঁসিতে আমরা আজ আনন্দিত। আমি মনে করি, দেশ আজ ১২ হাজার টনের বোঝামুক্ত হয়েছে।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ১৯৭১ সালে ধরে নিয়ে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে কয়েক দিন নির্যাতনের পর কারাগারে আটকে রাখা হয়। পরে ১৬ ডিসেম্বর তিনি মুক্তি পান।

কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনের মামাতো বোন হাসিনা খাতুন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি একটি বিচারের জন্য। এই বিচারের মধ্য দিয়ে জসিমের আত্মা শান্তি পাবে।

এই কিশোরকেও আগ্রাবাদের বাসা থেকে ভাত খেয়ে বের হওয়ার পর ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।

আরও খবর