১৮ বার কারাবরণ করেও স্বাধিকারের প্রশ্নে থমকে দাঁড়াননি বঙ্গবন্ধু
আলোকিত প্রতিবেদক : অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের স্থপতি তিনি।
তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
গ্রামেই কাটে বঙ্গবন্ধুর বাল্যকাল।
অজপাড়াগাঁর শেখ মুজিবই এক দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠেন।
তার ঘোষণাতেই দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিষ্ঠা পায় সোনার বাংলা।
চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন তৃতীয়। তার পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়রা খাতুন।
বঙ্গবন্ধু সাত বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল ও গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতার স্বনামধন্য ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৬ সালে তিনি বিএ পাস করেন।
বঙ্গবন্ধু সেখানেই হোসেন সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মত ত্যাগী নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শান্তি স্থাপনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। যা তাকে সামনে চলার পথে অগ্রসর করে দেয়।
বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন।
ওই সময় পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ব বাংলা সফরে এসে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বঙ্গবন্ধুসহ ছাত্রনেতারা এর প্রতিবাদ জানিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান শাসনামলে এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন একাধিকবার। কারাবরণ করেছেন ১৮ বার।
বাংলার মানুষের স্বাধিকার আদায়ের প্রশ্নে তবুও থমকে দাঁড়াননি বঙ্গবন্ধু।