কাপাসিয়ায় সালিশে মুরগি মিলনের বিশৃঙ্খলা : মান্নান মেম্বারের তুঘলকি!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বহুল আলোচিত মিজানুর রহমান মিলন ওরফে মুরগি মিলন এবার সালিশি বৈঠকে বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে অপমানিত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের টানচৌড়াপাড়া এলাকার সিদ্দিকের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আলোকিত নিউজ ডটকমের সম্পাদক ও দৈনিক অন্যদিগন্তের নিজস্ব প্রতিবেদক রুবেল সরকার ও তার পরিবারকে খুন-জখমের ব্যাপক হুমকি এবং শিশু নির্যাতনের বিষয়ে ওই সালিশের আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবু সায়েম। বৈঠক পরিচালনা করেন পাশের কালডাইয়া এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল মান্নান।
বৈঠকের শুরুতে বাদী জিয়াউর রহমান এলাকার সাত্তার মুন্সির সামনে তার মেয়েকে মারপিট ও মিলন বাহিনীর হুমকি-ধমকির কথা উপস্থাপন করেন।
এ সময় সাত্তার মুন্সি শুধু চাপাচাপি শুনেছেন বলে পাশ কাটিয়ে যান।
পরে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুজন সাক্ষীর নাম বারবার বললেও মান্নান মেম্বার পক্ষপাতিত্ব করে মূল ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান।
তিনি রুবেল সরকারের বক্তব্য ও হুমকির সাক্ষী না নিয়ে মুরগি মিলনের পক্ষে সাফাই গাওয়া শুরু করেন।
সাক্ষী রাসেল ও তার চাচি অভিযোগ করেন, তারা প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি।
মুরগি মিলনের পক্ষ হয়ে ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী হাবিবুর মহিলা সাক্ষী নেওয়া হবে না বলে জোর দেন।
এরপর মুরগি মিলন হাতজোড় করে বক্তব্যের জন্য পাঁচ মিনিট সময় নেন।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি রুবেল সরকারের বড় ভাই আবুল কালাম ও পিতা রশিদ সরকারকে গালি দিয়ে চরম বেয়াদবি করতে থাকেন।
এ সময় মান্নান মেম্বার ও সালিশের সভাপতি নীরব থাকলে মুরগি মিলনের কথার প্রতিবাদ করা হয়।
পরে তারা চলে গেলে বৈঠক পন্ড হয়ে যায়। মুরগি মিলনকে নিয়ে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
এদিকে সালিশ চলাকালে মান্নান মেম্বার মুরগি মিলনের অপকর্ম নিয়ে আলোকিত নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশ করা ‘মারাত্মক অপরাধ’ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন।
অথচ প্রেস অ্যাক্ট অনুযায়ী, গণমাধ্যমের কোন সংবাদ বা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোন ধরনের রায় ঘোষণা করা জনপ্রতিনিধি বা সালিশকারীদের এখতিয়ার-বহির্ভূত। এ সংক্রান্ত বিষয়াদির সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ প্রেস কাউন্সিল বা আদালত।