গাজীপুরের বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা এমদাদের দুর্নীতির রাজত্ব : পতিতা বাণিজ্য ৪ লাখ!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হকের ঘুষ-দুর্নীতির রাজত্ব চলছে। বিষয়টির ওপর দৈনিক অন্যদিগন্ত ও আলোকিত নিউজ ডটকমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও তার বাণিজ্য থামছে না।
এরই মধ্যে প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. ইউনুছ আলী আলোকিত নিউজের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তা তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে তদন্তও হয়। ওই তদন্ত আটকে দেওয়া হয়েছে বলে বিট কর্মকর্তা বলে বেড়াচ্ছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হক ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তার যোগসাজশে গাছপালা কেটে বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম এতে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের দুজনের গ্রামের বাড়ি শেরপুরে। একজন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যে বেরিয়ে আসছে আরও ফিরিস্তি।
পতিতা বাণিজ্য : রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা থেকে পূর্ব দিকে কাপাসিয়া রোড। এই রোডের উত্তর পাশে সাহেদ বাড়ি এলাকা। ওই বাড়ির উত্তর পাশের গজারি বনের মধ্যে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্পটটিতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেহ ব্যবসা চলে। স্পটে ঢুকলেই নানা সামগ্রী চোখে পড়বে। এটি পরিচালনা করছেন রফিক ও সিরাজ। তারা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য।
ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, এই স্পট থেকে বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হক দৈনিক ১৩০০ টাকা করে নেন। স্পটে গিয়ে টাকা আনেন বন প্রহরী মেহেদুল ইসলাম ও শেখর চন্দ্র দাস। হিসাব করে দেখা গেছে, বিট কর্মকর্তা স্পটটি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চার লাখ টাকা আদায় করেছেন।
এলিগেন্স বাণিজ্য : রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে বাংলাবাজার এলাকার জাঙ্গালিয়া পাড়ায় এলিগেন্স সোয়েটার ফ্যাক্টরি। ফ্যাক্টরির মালিক বনের কিছু জমি দখল করে জেনারেটরের রুম নির্মাণ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেনারেটরের রুম নির্মাণ করার সময় বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হক প্রথমে বাধা দেন। পরে ফ্যাক্টরির মালিক তাকে তিন লাখ টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেন বলে অভিযোগ।
বাটন রুঝ বাণিজ্য : বাংলাবাজার এলাকায় বাটন রুঝ ফুড ফ্যাক্টরি অবস্থিত। ফ্যাক্টরির মালিক বনের কিছু জমি দখল করেছেন। এ থেকে বিট কর্মকর্তা দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
ফিলিং স্টেশন বাণিজ্য : গজারিয়া পাড়ার জঙ্গল বাড়ির পাশে বনের কিছু জমি দখল করেছে মেসার্স রহমান ফিলিং স্টেশন। এ থেকে বিট কর্মকর্তা দুই লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।