কালিয়াকৈরে আফতাব গ্রুপের বন দখল, তদন্তে ডিএফও
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গাছ কেটে আফতাব গ্রুপের বনভূমি দখলের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বন বিভাগ।
ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে বিষয়টির ওপর গত ৮ জানুয়ারি আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ নিয়ে চলে ব্যাপক তোলপাড়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কর্মকর্তারা তৎপর হন।
আরও পড়ুন : কালিয়াকৈরে গাছ কেটে আফতাব গ্রুপের বন দখল, রক্ষকরা নীরব
সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কালিয়াকৈর রেঞ্জের মৌচাক বিটের দক্ষিণ ভান্নারা এলাকায় আফতাব গ্রুপের আলিব কম্পোজিট লিমিটেড। মালিক ২০২১ সালে পূর্ব পাশে কারখানা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেন।
সম্প্রসারিত স্থান ঘেঁষে উত্তর পাশে আরএস ১৪০৮ নং দাগের ও দক্ষিণ পাশে ১৩০৮ নং দাগের সংরক্ষিত গজারি বন। জোত জমিতে কাজ চলমান অবস্থায় গত মার্চ-এপ্রিলের দিকে উত্তর পাশের বনের ৩০-৩৫টি জীবিত ও মৃত গাছ কেটে বালু ফেলা হয়।
পরে সাবেক বিট কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান মানিক প্রথমে বাধা দেন। তিনি রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম দোলনকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় এক বিঘা বনভূমিতে দেড় শতাধিক আকাশমনি চারাও রোপণ করেন।
কিছুদিন পর চারাগুলো তুলে ফেলে ওই বনভূমিতে ইট-সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এরপর বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তা নীরব ভূমিকা পালন করেন।
কারখানার উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের বন ঘেঁষে কোথাও ডিমারকেশনের খুঁটি পাওয়া যায়নি। দখলীয় অংশের বাইরে উপকারভোগী ফরিদের বাড়ির পাশে কিছু কিছু চারা দেখা গেছে।
ফরিদকে হাতে রাখতে বনের জমিতে একটি পাকা দোকান নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারখানার পাশে বনের জমিতে আরেকটি টিনশেড দোকান করেছেন আব্বাস আলী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিট কর্মকর্তা মানিক ও রেঞ্জ কর্মকর্তা দোলন ওই ঘটনায় মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্ত ও মাপজোখ হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম আলোকিত নিউজকে বলেন, আলিব গার্মেন্টসের বিষয়ে মাপজোখ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তাদের জবর দখল থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে দক্ষিণ ভান্নারার উর্মি নিটওয়্যার কারখানার উত্তর দিকে আকাশমনি বাগানের গাছ কেটে জোতের প্লট বিক্রির পাকা রাস্তা নির্মাণ করেন স্থানীয় দুলাল ও হুমায়ুন।
ঘটনাটির ওপর গত ৩ জানুয়ারি আলোকিত নিউজে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে চলে তোলপাড়।
আরও পড়ুন : কালিয়াকৈরে দিন-দুপুরে ‘বন কেটে’ প্লট বিক্রির পাকা রাস্তা!
পরদিন ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের রাস্তাটির ইট তুলে তাতে চারা রোপণ করে বিট অফিস। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বিট কর্মকর্তা শহীদুল আলম আলোকিত নিউজকে বলেন, ডিএফও রাস্তার স্থানও পরিদর্শন করেছেন। মামলায় বাগানের আকৃতি বিনষ্ট করে এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে।